করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তির কফিন থেকে গাঁজা উদ্ধার

খান মাইনউদ্দিন বরিশাল : বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির মরদেহ নেওয়ার জন্য আনা কফিন বাক্স থেকে ২১ পোটলা গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২০ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশালের কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান।

তিনি জানান, গত শনিবার মধ্যরাতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের নলী তুলতলা গ্রামের আব্দুল হালিম (৭০) করোনা উপসর্গ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান। পরে তার স্বজনরা ওই রাতেই চাদমারি এলাকা থেকে একটি কফিন কিনে আনেন। কিন্তু মরদেহ ঢোকানোর আগে কফিনটি খুললে তার মধ্যে গাঁজার পোটলা দেখতে পান তারা। রোগীর স্বজনরা ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবহিত করেন। বিষয়টি জানতে পেরে রাতেই আমরা (পুলিশ) সেখানে গিয়ে গাঁজার পোটলাগুলো উদ্ধার করি।

পরে ঘটনার অনুসন্ধানে নেমে জানতে পারি, চাঁদমারি এলাকার একটি দোকান থেকে কফিনটি কিনে আনা হয়েছে।

দোকানের মালিক জানান, তিনি বিক্রির জন্য কফিনগুলো রাস্তার পাশেই সারিবদ্ধভাবে রাখেন। রাতের বেলাও ওগুলো সেখানেই থাকে। ওই দোকানি গাঁজার ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাতরা ওই কফিনের মধ্যে গাঁজার পোটলাগুলো লুকিয়ে রেখেছিল। তারপরও আমরা বিষয়টি আরো খতিয়ে দেখছি। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।

চাদমারি এলাকার ওই কফিন ব্যবসায়ি বাদশা জানান, তার দোকানের আশপাশের এলাকায় মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের আনাগোনা রয়েছে। হয়তো পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কেউ নিজেকে বাঁচাতে কফিনের মধ্যে ওই গাঁজাগুলো লুকিয়ে রেখেছিলেন।
কিন্তু সেগুলো আবার বের করার আগেই কফিনটি বিক্রি হয়ে যায়।

কফিনে গাঁজা পাওয়ার ব্যাপারে মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে সোহাগ জানান, মরদেহ নিতে কফিনের প্রয়োজন হবে বলে তাদের জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে হাসপাতালের নতুন ভবনের করোনা ওয়ার্ডের খায়ের নামের এক কর্মচারীর সহায়তায় আড়াই হাজার টাকার বিনিময়ে রাতেই কফিনটি কেনা হয়। পরে তাতে মরদেহ ঢোকানোর আগে গাঁজার পোটলাগুলো তাদের চোখে পড়ে।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, বিনা অপরাধে কাউকে হয়রানি করার সুযোগ নেই, তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Print Friendly

Related Posts