বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, করোনা মহামারির অজুহাতে সরকারের কাছে এখন বন্যাদুর্গতরা চরম উপেক্ষিত। কাঙ্খিত সাহায্য সহযোগিতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বন্যাদুর্গতরা। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ তৎপরতা প্রয়োজনের চেয়ে খুবই অপ্রতুল।
তারা বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় একেবারে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। মন্ত্রণালয়সহ স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতা এখনও নিতান্তই অপ্রতুল।
বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, জরুরি ভিত্তিতে বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারি ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে বাঁচানোর দাবি জানিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা দুর্যোগের মধ্যে বানভাসি লাখ লাখ পরিবারের দুর্ভোগ ও দুর্গতি চরমে উঠেছে। খাদ্যহীন ও আশ্রয়হীন কোটি মানুষের দুর্দশা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বন্যায় সহায়-সম্পদ হারিয়ে বানভাসিদের মধ্যে নিদারুণ হাহাকার দেখা দিয়েছে। মহামারি মোকাবেলায় নাকাল সরকারের কাছে বন্যা দুর্গত কোটি মানুষ উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।
তারা বলেন, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা জেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নেত্রকোনা, শরিয়তপুরসহ অধিকাংশ বন্যা দুর্গত জেলায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষের কাছে খাদ্য, ত্রাণ সামগ্রী, নগদ অর্থ প্রভৃতি কিছুই পৗঁছেনি। লক্ষ লক্ষ পরিবার অর্ধাহারে-অনাহারে দিন পার করছ। বন্যায় ফসলহানির কারণে আগামী দিনগুলো তাদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। এমতবাস্থায় সরকারের ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি সংগঠনের নেতাকর্মীসহ দেশের বিত্তবান ও সাহায্য সংস্থাকেও এগিয়ে আসতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অপরদিকে ভারী বৃষ্টিপাতে রাজধানীতে ব্যাপক পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। কয়দিন থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কসহ সারাদেশ পানিতে তলিয়ে গেছে। ঢাকাসহ পুরো দেশ অনেকটা নাকাল অবস্থা। বেড়িবাধের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও দুর্নীতির ফলে মানুষের সীমাহীন কষ্ট। এ থেকে জাতি মুক্তি চায়।
বার্তা প্রেরক: আহমদ আবদুল কাইয়ূম, প্রচার সম্পাদক