বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী—বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে আলাদা করে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমিকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এই উদ্যোগ কার্যকর করা হবে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান খুলবে না। মন্ত্রণালয়ও বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব নয়।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে আমরা টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তবু অনেকেই শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই, সবার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন চিন্তা করতে হচ্ছে আমাদের।’
সচিব আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান খোলার সঙ্গে-সঙ্গে শিক্ষার্থীরা যেন দ্রুত সিলেবাস শেষ করতে পারে, সেজন্য বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে। শ্রেণিভিত্তিক মৌলিক সক্ষমতা বা কোর কম্পিটেন্ট অর্জনে বিষয় চিহ্নিত করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করার জন্য জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজও শুরু হয়েছে। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমিকেও এই বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সাধারণ ছুটি শেষ হলে ওই সিলেবাস শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। তবে, সেপ্টেম্বরের পরও ছুটি দীর্ঘ হলে শিক্ষাবর্ষ পরবর্তী বছরের দুই এক মাস লাগতে পারে।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পরের ক্লাসের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি হবে। গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোর প্রতি বেশি জোর দেওয়া হবে।’
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, ‘সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠান খোলার কথা মাথায় রেখে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে রোববার (২৬ জুলাই) মন্ত্রণালয়ে আমাদের একটি বৈঠক আছে।’ বৈঠকে সিলেবাসের কাজ চূড়ান্ত হতে পারে বলেও তিনি জানান।