এস. এম ইলিয়াস জাবেদ, কলাপাড়া প্রতিনিধি: কলাপাড়ায় গরু বাজারে চাঁদাবাজি রুখে দিল পুলিশ। জনসাধারনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের উদ্যোগে কলাপাড়া পুলিশ মো. আলামিন (২৫) ও মো.মাসুম সর্দার (২০) নামের দুই চাঁদাবাজকে হাতে নাতে আটক করে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করেছে।
এ ঘটনায় কলাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক সুকন্ঠ দে বাদী হয়ে কলাপাড়া পৌর ছাত্রলীগ সম্পাদক মো: জুয়েল রানা সহ ৬জনের নামে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছে। যার নম্বর-১১; তারিখ-২৮/০৭/২০২০; ধারা ৩৮৪/৩৮৬/১০৯/৩৪ পিসি
গ্রেফতারকৃত চাঁদাবাজ আলামিন পৌর শহরের নাচনাপাড়া এলাকার মো. হেলাল মুন্সির ছেলে এবং মাসুম সরদার উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের রহমতপুর এলাকার মো. সিদ্দিক সরদারের ছেলে ।
জানা যায়, উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখীমারা বাজারে স্থানীয় জনসাধারন জুয়েল রানা ও তার ক্যাডারদের হাতে বেশ কিছুদিন ধরে চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছিল। জনসাধারন তাদের গবাদিপশু বাজারে এনে কেনা-বেচা করতে গেলে জুয়েল ও তার সহযোগীদের চাঁদা দিতে বাধ্য করতো। এনিয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার কলাপাড়া থানা পুলিশ পাখীমারা বাজারে অভিযান চালিয়ে দু’চাঁদাবাজকে উত্তোলনকৃত চাঁদার টাকাসহ হাতে নাতে আটক করে। এসময় জুয়েল রানা ও তার অপর সহযোগীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
কলাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক সুকন্ঠ দে জানান, ’পাখীমারা বাজার উপজেলা প্রশাসন থেকে কোন ইজারা দেয়া না হলেও জুয়েল ও তার সহযোগীরা জনসাধারনের কাছ থেকে গরু প্রতি নূন্যতম ১হাজার ও ছাগল প্রতি ৫শ’ টাকা হারে বলপূর্বক আদায় করতে থাকে। দাবীকৃত টাকা না পেলে জনসাধারনকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। জনসাধারনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার বাজার থেকে দুই চাঁদাবাজকে হাতে নাতে আটক করা হয়েছে।’
কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ’পাখিমারা বাজারে কোন ইজারা নেই । এ হাট থেকে খাজনা আদায়ের নামে চাঁদা আদায়ে জনসাধারন বিড়ম্বনার শিকার হওয়ায় আইনী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।অভিযুক্ত জুয়েল রানা ও তার অপর সহযোগীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলছে।’
এরআগে কলাপাড়া থানা পুলিশ ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পৌরশহরের হোটেল রুবানের সামনে থেকে ইয়াবাসহ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল রানাকে গ্রেফতার করে। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জুয়েল’র নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।