বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি আরও ২৫ দিন বাড়িয়েছে সরকার; এই সময়ে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই সময়ে দেশের সব রকমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।”
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় আলোচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার এই তারিখ নির্ধারণ করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পাশাপাশি ছুটির এই সময়ে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে অবস্থান নিশ্চিত করতে অভিভাবক, শিক্ষক এবং স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়ে বুধবার অফিস আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় গত ১৭ মার্চ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সব অফিস-আদালত আর যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে শুরু হয় ‘লকডাউন’।
টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ৬ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে সে সময় জানানো হয়। এখন জুলাই মাসের শেষে এসে সেই ছুটি আরও বাড়ানো হল।
প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের জন্য জুনের শুরুতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিস খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও শ্রেণিকক্ষের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর অনুমতি কোনো প্রতিষ্ঠানকেই দেওয়া হয়নি।
দেশে ভাইরাসের প্রকোপ শুরুর আগে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হলেও ১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আটকে গেছে মহামারীর কারণে। কবে এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে, সে নিশ্চিয়তা কেউ দিতে পারছে না।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষাও অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে এবার সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার পরিকল্পনা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
আগের ছুটির ধারাবাহিকতায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কোচিং সেন্টারও বন্ধ থাকবে জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, এই সময়ে নিজেদের এবং অন্যদের সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা যার যার বাসায় অবস্থান করবে। অভিভাবকরা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবে।
বন্ধের সময় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা যেন বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে, তা অভিভাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।