চামড়ার দাম কম নির্ধারণ করায় ইসলামী আন্দোলনের উদ্বেগ

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে ২৩ থেকে ২৯ শতাংশ কমিয়ে নির্ধারণ করায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ, সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি সিন্ডিকেটগুলোকে সুযোগ করে দিয়ে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। এভাবে একটি সম্ভাবনাময়ী শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার। যা দেশের উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, গরিব ও এতিমদের হক চামড়ার দাম নিয়ে গত বছরের কারসাজি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। ফলে দাম না পেয়ে অনেকইে ক্ষোভে চামড়া রাস্তায় বা ড্রেনে ফেলে দেয়। অনেকেই মাটিতে পুঁতে ফেলে। দামে ধস নামায় প্রায় হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়। পাশাপাশি এই টাকা থেকে বঞ্চিত হয় গরিব ও এতিম জনগোষ্ঠী। করোনার কারণে চামড়া নিয়ে এবারো সেই সঙ্কট আরো বাড়ার শঙ্কা করছিল সচেতন জনতা। জনগণের শঙ্কাই সত্যি হলো।

নেতৃদ্বয় বলেন, মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকরা যদি যথাসময়ে চামড়া কিনতে অনাগ্রহী হয় তাহলে বাজারে অতিরিক্ত চামড়া সরকারিভাবে কিনে দুই তিন মাস গুদামজাত করার পরামর্শ দিয়েছিলাম আমরা। এ ছাড়াও সারা দেশে মসজিদের ইমাম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এতিমখানা ও মাদরাসার প্রধানদের চামড়া নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও চামড়া নিয়ে শঙ্কা হতো না। পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া বেচাকেনা হয় কি না তা মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওদের সম্পৃক্ত করা এবং সরকারের দেয়া ঋণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করলে চামড়া শিল্পকে বাঁচানো সম্ভব হবে।

ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ, সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।

এক শুভেচ্ছা বার্তায় নেতৃদ্বয় বলেন, এবারের ঈদুল আযহায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।

তারা বলেন, কুরবানীর ঐতিহাসিক শিক্ষা ও তাৎপর্য নিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা সমাগত। ঈদুল আযহা আমাদেরকে ত্যাগ ও কুরবানীর আদর্শে উজ্জীবিত করে। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আল্লাহর উদ্দেশ্যে সবকিছু বিলীন করে দেয়ার চেতনা জাগ্রত করে ঈদুল আযহা। সামাজিক বৈষম্য দূর করে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক, শোষণমুক্ত ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় কুরবানী আমাদেরকে শিক্ষা দেয়।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts