জাকির হোসেন বাদশা, মতলব (চাঁদপুর): চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার লুধুয়া সরকারি খাল থেকে বালু উত্তোলন চলছেই। মহামারী করোনার মধ্যেও চলছে বালু খেকোদের উৎপাত। গত ১৫-২০ দিন ধরে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন।
তবে গত মে মাসে একাধিকবার উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করলেও অসাধু মহল আবারও তা চালু করেছে।
ড্রেজার মালিক জাকির স্থানীয় সুজাতপুর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক সামছুর আত্মীয় হওয়ায় ভূমি অফিসের কাঁধে ভর করে খুব সহজেই বালু উত্তোলন করে পার পাচ্ছে স্থানীয় অসাধু মহল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খাল থেকে জাকির নামে এক ব্যক্তির ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। লুধুয়া গ্রামের একাধিক স্থানে টাকার বিনিময়ে বিক্রি হচ্ছে বালু। আর এই অসাধু ব্যবসাটি চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় মাহবুব বেপারী, সোহেল রানা, সুমন, ইয়াছিন, মোকাদ্দেস’সহ কয়েকজন।
এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি জানান, খাল থেকে বালু উত্তোলনের কারণে ফসলী জমি ভেঙ্গে পড়ছে। বর্ষায় আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকা রয়েছে।
সুজাতপুর ভূমি অফিসের ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, আমরা একাধিকবার গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু স্থানীয় কিছু লোকেরা আবার চালু করে। আজকেও (৩০ জুলাই) আমার অফিসের অফিস সহায়ক সামছুকে পাঠিয়ে ড্রেজার বন্ধ করে দিয়েছি। অফিস সহায়ক সামছু বলেন, ড্রেজার মালিক জাকির আমার আত্মীয় হয়। কিন্তু জাকিরের ড্রেজার বর্তমানে বন্ধ আছে। আজকে যেটা বন্ধ করেছি, সেটা জাকিরের না।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএম জহিরুল হায়াত বলেন, সংবাদ পেয়ে ড্রেজার বন্ধ করে দিয়েছি। পরবর্তীতে যদি কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।