ইফতেখার শাহীন: বরগুনায় কোরবানির পশুর চামড়া বাজারে ধ্বস নেমেছে। জেলার বাজারগুলোতে গতবারের চেয়ে চার ভাগের এক ভাগ দামে কোরবানীর পশুর চামড়া বেচতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। অনেক স্থানে কম দামে বিক্রি হওয়ায় অবহেলায় মাটিতে লুটাচ্ছে পশুর চামড়া। চামড়া বাজারে এই ধসের শিকার মধ্যস্বত্বভোগী ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা দিশাহারা।
জানা যায়, বিগত বছরগুলোতে জেলায় বিভিন্ন বাজারে প্রতিটি ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ২শ থেকে ৩শ টাকা। এবার তা আকারভেদে দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা। প্রতিটি গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছিল ১হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায়, এবার তা ১শ থেকে ৩শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকার কোরবানীদাতারা জানান, বিগত ১০ বছরের চামড়ার এমন মন্দা বাজার দেখেননি তারা। চামড়ার বাজার ধ্বসের কারণে লোকসানের শিকার হলেন জেলার প্রায় সকল চামড়া ব্যবসায়ী।
বরগুনা জেলা শহরের চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানির চামড়ার এই আকস্মিক দরপতনে দিশাহারা মধ্যস্বত্বভোগী চামড়া ব্যবসায়ীরা। তারা প্রতি বছর কোরবানির সময় দু’এক দিনের এ ব্যবসায় টাকা খাটিয়ে ভালো লাভ করেন। তবে এবারের দরপতনে লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে বিপাকে তারা। পুঁজি সংকট, ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া পাওনা ইত্যাদির কারণে চামড়ার দাম পড়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা।
বরগুনা শহরের চামড়া ব্যবসায়ী লিমা, জাহাঙ্গীর, শাহিন আকতার বলেন, ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে লাখ লাখ টাকা। হাতে টাকা না থাকায় তারা কাংখিত পরিমাণে চামড়া কিনতে পারছেন না। ফলে বাজারে চাহিদা কম থাকায় চামড়ার মূল্য স্বাভাবিক কারণে কমে গেছে। অন্যদিকে চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে। এতে করে দেশের স্থানীয় বাজারে চামড়া কেনাবেচা করতে হচ্ছে। ফলে চামড়ার চাহিদা কম হওয়ায় দরপতন ঘটছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।