বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, কথা বলার সময় আমাদের মুখ থেকে যে বায়ু বা,বাতাস নির্গত হয় তার মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনার জীবাণু।
জার্মানির রুহর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, কোভিড -১৯ সংক্রমণের শিকার এমন বেশকিছু রোগীর মুখগহ্বর এবং গলাতে প্রচুর পরিমাণে ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গিয়েছে।
এই বিষয়ে তাঁরা আরও বলেছেন যে, “করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে সংক্রামিত ব্যক্তিদের শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার সময় সরাসরি হাঁচি, কাশি অথবা কথা বলার সময় যে বাতাস নির্গত হয় তা সুস্থ ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করে। যারফলে আরও একজন সুস্থ মানুষ করোনা আক্রান্ত হন।”
যার ফলে গবেষকরা মনে করছেন, নিয়মিত মাউথওয়াশ দিয়ে গার্গেল করলে মুখগহ্বরে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। এছাড়াও মুখের লালারসে করোনা সহ যেকোনও ধরণের জীবাণুকে পরিস্কার করতে সহায়তা করে এই মাউথওয়াশ। সুতরাং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় সতর্কতা বিধি মেনে চলার সঙ্গে সঙ্গে দিনে অন্তত দুবার এই মাউথওয়াশ দিয়ে মুখের ভিতরের অংশ তথা দাঁত, চোয়াল, জিভ এবং ঠোঁট পরিস্কার করলে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই এড়ানো যাবে।
শুধু তাই নয়, করোনা ঠেকাতে এই মাউথওয়াশ কতটা উপকারী তা প্রমাণ করতে রুহর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা অনেক মানুষের উপর এটি প্রয়োগ করে দেখেছেন এবং এর ক্লিনিক্যালি ট্রায়ালও দেওয়া হয়েছে। এরপরই বিশেষজ্ঞরা অন্তত ৩০ সেকেন্ড ধরে মাউথওয়াশ দিয়ে গার্গেল করার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিজ্ঞানীদের আরও দাবি, মাউথওয়াশে থাকা রাসায়নিক উপাদান করোনাভাইরাসের এই লিপিড মেমব্রেনকে নষ্ট করে দিতে সক্ষম। ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ বাধাপ্রাপ্ত হয়।