মিন্নি ডিগ্রি পরীক্ষায় ৭ বিষয়ের ৪টিতে ফেল করেছেন

বরগুনা প্রতিনিধি: বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার আসামি ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ডিগ্রি পরীক্ষায় ৭ বিষয়ের ৪টিতেই পাস করতে পারেননি।

উত্তীর্ণ হওয়া তিন বিষয়ের মধ্যে একটিতে পেয়েছেন ডি গ্রেড আর বাকি দুটিতে সি গ্রেড। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য প্রকাশিত ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বুধবার (১২ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৭ টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশিত হয়।

জানা গেছে, মিন্নি স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস বিষয়ে পেয়েছেন ডি গ্রেড। রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম পত্রে পেয়েছেন সি গ্রেড। রাষ্ট্রবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রে পাস করেননি। ইসলামের ইতিহাস প্রথম পত্রে পেয়েছেন সি গ্রেড। ইসলামের ইতিহাস দ্বিতীয় পত্রে পাস করেননি। এছাড়া অর্থনীতি প্রথম এবং দ্বিতীয় পত্রেও পাস করেননি।

মিন্নি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। ২০১৯ সালের শেষদিকে এ পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর শেষ হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে ব্যাচেলর অব সোসাল সাইন্স (বিএসএস) গ্রুপ থেকে এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তিনি।

দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় আদালত বন্ধ হওয়ার আগে মিন্নির ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শেষ হয়। একদিকে রিফাত হত্যা মামলার বিচার কাজ অন্যদিকে পরীক্ষা চলায় মামলার কার্যদিবসেও আদালতের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন মিন্নি।

এ বিষয়ে মিন্নির বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, মিন্নির ওর কাঙ্খিত ফলাফল করতে পারেনি। আসলে ওর যে অবস্থা তাতে কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করা সম্ভবও নয়।

তিনি আরো বলেন, পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি মিন্নি যথাযথভাবে নিতে পারেনি। যে সময়ে ওর পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করার কথা, সে সময়ে ৪৯ দিন ছিল কারাগারে। স্বামীকে হারিয়েও মিন্নি মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত ছিল। তাছাড়া নিয়মিত কোর্টে হাজিরাতো ছিলই।এসব কারণে ওর পরীক্ষার ফলাফল ভালো হয়নি। তারপরও মিন্নি দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে এবং প্রথম বর্ষের খারাপ হওয়া পরীক্ষাগুলোর ইম্প্রুভমেন্ট দিতে পারবে।

Print Friendly

Related Posts