মো. মাইনুল ইসলাম, গোদাগাড়ী (রাজশাহী): রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার কয়েক হাজার পেনশন ভোগী চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
জানা যায় যে, এতদিন তারা উপজেলা ও সোনালী ব্যাংক গোদাগাড়ী শাখায় গিয়ে পেনশন বই দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করতেন।কিন্তু গত জুলাই মাসের ২ তারিখে তাদের মোবাইলে ম্যাসেজ আসে যে, Your eppo has been transferred to CAO Pension and Fund Management . All turther pension related activities will be prosessed by CAO Pension and Fund management .
এরপর পেনশন ভোগীরা গোদাগাড়ী উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে যোগাযোগ করে। সেখানের তারা জানতে পারে যে, কেন্দ্রীয সিন্ধান্ত মোতাবেক এখন থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে ইটিইফ এর মাধ্যমে তাদের পেনশন দেয়া হবে। এতে হয়তো ভবিষতে পেনশন তোলার সুবিধা হবে। কিন্তু এখন পেনশনের টাকা না পেয়ে চরম ভোগান্তীতে পড়েছেন তারা।
গোদাগাড়ী উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত একজন স্কুল শিক্ষক আলাউদ্দীন বলেন, তিনি মাসিক ৯ হাজার ৭শত ৪৬ টাকা মাসিক পেনশন দিয়ে তার দুই সদস্যের সংসার কোন রকমে ধার বাকি করে চালাতেন । এখন পেনশনের টাকা না পাওয়ায় দোকানদার আর ধার বাকি দিচ্ছে না। এতে চরম কষ্টের মধ্যে পড়েছেন।
অবরসপ্রাপ্ত সৈনিক ফজলুল হক বলেন, তিনি অভাবের তাড়নায় পেনশন বিক্রি করেছিলেন। এখন মেডিকেল ভাতা পান। সে ভাতা দিয়ে বৃদ্ধ বয়সের নানা রকম অসুখের ওষুধ কিনতেন, সেটাই বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে তার শরীরের নানা রকম অসুখ চরম ভাবে দানা বেঁধে উঠেছে।
এভাবে বেশ কয়েকজন পেনশন ভোগীকে বিভিন্ন প্রেস ক্লাবে, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিতে দেখা যাচ্ছে। ফলে একদিকে তাদের সামাজিক মান সম্মান হানি হচ্ছে, অন্যদিকে কষ্টে দিন পার করছেন। তারা যর্থাথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছেন যে, আপাতত পুরনো পদ্ধতিতে কয়েক মাস পেনশন দেয়া হোক, পরে সেটি কেন্দ্রীয় ভাবে দেবার ব্যবস্থা করা হোক।
এবিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা খোন্দকার মাহফুজুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে, চলতি অর্থ বছর থেকে সব পেনশন CAO Pension and Fund Management থেকে দেয়ার অংশ হিসাবে এখান থেকে মাত্র ৩১১ জন হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে পেনশন দেয়া হয়েছে। বাকি প্রায় ১ হাজারের উপরের পেনশন ভোগীদের ডাটা CAO Pension and Fund Management এ প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এটি সাময়িক সমস্যা। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে এবং তারা নির্দ্বিধায় তাদের পেনশন তুলতে পারবেন।