আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে খোরশেদ আলম (৬০) নামে ছোট ভাইকে বড় ভাই ছুরিকাঘাতে খুন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) রাতে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত খোরশেদ আলম সখীপুর উপজেলার বড়চালা গ্রামের মৃত মাকদ আলীর ছেলে।
এঘটনায় নিহতের ছেলে হানিফ তার বড় চাচাসহ চারজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
সখীপুর থানা পুলিশ শনিবার সকালে নিহতের বড় ভাই মোকছেদ আলী (৬৬) ও ছানোয়ার হোসেন (৪২) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার তাদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত খোরশেদ আলমের ছেলে হানিফ সিকদার জানান, জমিজমা নিয়ে তার বড় চাচা মোকছেদ আলীর সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। খোরশেদ আলম গত বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বংকুরি বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় চাচা মোকছেদ আলী তার সঙ্গীয় প্রতিবেশী মৃত বাছেদের ছেলে সানোয়ার হোসেন, মৃত বগু মিয়ার ছেলে তোতা মিয়া ও মৃত হাতেম আলীর ছেলে আব্দুর রহিমসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন নিয়ে খোরশেদ আলমের পথ রোধ করে। পরে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকের পাঁজরে আঘাত করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার মুখে কীটনাশক ঢেলে দেওয়া হয়। গুরুতর অবস্থায় খোরশেদ আলম রাস্তার পাশে কাজী মিয়ার বাড়িতে গিয়ে পড়লে ওই বাড়ির লোকজন আমাদের বাড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন গিয়ে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাবার মৃত্যু হয়।
নিহত খোরশেদ আলমের দুই ছেলে সোলাইমান ও হানিফ সিকদার জানান, বিরোধের জের ধরে আসামিরা খুন করেছে বলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবা আমাদের জানিয়েছেন।
মির্জাপুর থানার এসআই হাবিবুর রহমান উকিল জানান, নিহত ব্যক্তির বুকের পাঁজরে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
সখীপুর থানার এসআই বদিউজ্জামান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল হক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর সহোদরসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তারা জানিয়েছেন।