এর আগে ১৪ মে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। পরীক্ষামূলকভাবে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়েছে। কয়লাচালিত আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল থার্মাল পাওয়ারপ্ল্যান্টের মধ্যে এই কেন্দ্রটি প্রথম বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে এলো।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মাওলা জানিয়েছেন, ৩টা ৪৫ মিনিটে আমাদের দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা হয়েছে। এখন পরীক্ষামূলকভাবে কেন্দ্রটি চালানো হবে। এখন ১০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। পরে আস্তে আস্তে বাড়িয়ে এই ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (বাংলাদেশ) ও সিএমসি (চীন)-এর যৌথ উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) পটুয়াখালীর পায়রায় ৬৬০ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিটে মোট এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাচালিত তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন করছে।
পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পটুয়াখালী সদর হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর উপজেলায় নবনির্মিত ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে যুক্ত হয়ে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ আসবে।
তবে এখনও সঞ্চালন লাইন তৈরি না হওয়ায় কেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গ বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে না। এখন দুটি ইউনিটকে অর্ধেক লোডে চালানো হবে। আগামী বছরের শেষ নাগাদ সঞ্চালন লাইন তৈরি হলে ঢাকায় এই বিদ্যুৎ আনা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে সংবাদসুত্র।