বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সংসদীয় পাঁচটি আসনের উপ-নির্বাচনের মধ্যে শুধু পাবনা-৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগ। বাকি ৪টি আসনে কারা মনোনয়ন পাচ্ছেন, তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
রোববার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদীয় বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পাবনা-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাসকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়।
আর ঢাকা-৫, ঢাকা-১৮, নওগাঁ-৬ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে কে প্রার্থিতা পাচ্ছেন, সে নাম পরে প্রকাশ করবে দলটি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মনোনয়ন বোর্ডের ও দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ বিষয়ে মনোনয়ন বোর্ডের অন্যতম সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্নেল ফারুক খান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘মনোনয়ন বোর্ড সভা করেছে। সদস্যরা মতামত দিয়েছেন। পাবনা জেলায় একজনকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সময় অনুযায়ী বাকি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।’
শূন্য হওয়া পাঁচটি সংসদীয় আসনে গত ১৮ থেকে ২৩ আগস্ট দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা নেয় আওয়ামী লীগ।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পাবনা-৪ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ৩ সেপ্টেম্বর বাছাইয়ের পর ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। এ আসনের উপ-নির্বাচন হবে ব্যালট পেপারে।
গত ২ এপ্রিল সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে পাবনা-৪ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন করার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে তা সম্ভব হয়নি।
এদিকে সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে ঢাকা-১৮ আসনটি শূন্য হয়। এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৫৫ জন। এর মধ্যে রয়েছেন যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের খান, বিমানবন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহজাহান আলী মন্ডল, প্রয়াত সাহারা খাতুনের ভাগনে আনিসুর রহমান।
ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা মারা যাওয়ায় শূন্য ঘোষণা করা হয় আসনটি। এ আসনে মনোনয়ন পেতে আগ্রহীর তালিকায় রয়েছেন ১৯ জন। এর মধ্যে রয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ হারুনর রশীদ মুন্না।
নওগাঁ-৬ আসনের (আত্রাই-রাণীনগর) সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য হয়। এ আসনের উপ-নির্বাচনে ইসরাফিল আলমের স্ত্রী সুলতানা পারিভীন, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহিন মনোয়ারা হক, আত্রাই উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ ইসলাম বিপ্লবসহ মোট ৩৩ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া সিরাজগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে তিনটি। এ আসন থেকে তার বড় ছেলে তানভীর শাকিল জয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
আসনগুলোতে শেষ পর্যন্ত কে মনোনয়ন পান এবার সে অপেক্ষা।