বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্যাস লাইনের ওপর দিয়ে কীভাবে নকশার অনুমোদন হলো- তা তদন্ত করে দেখা হবে।
পরিকল্পনার বাইরে গিয়ে কেউ মসজিদ নির্মাণ করেছে কি না- তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার জাতীয় সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের তালিকা বেশ দীর্ঘ। করোনার এই সময়ে বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি দেশ হারিয়েছে অনেক গুণীজনকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জের মসজিদে ঘটে যাওয়া ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, যারা বেঁচে আছেন তাদের জন্য সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বলেন, গ্যাসের লাইনের উপরেই নাকি এই মসজিদটি নির্মিত। সাধারণত যেখানে গ্যাসের লাইন থাকে সেখানে কোনো নির্মাণকাজ হয়না। জানিনা রাজউক এখানে পারমিশন দিয়েছে কিনা। সেটা দিতে পারেনা। অপরিকল্পিত কোনো পদক্ষেপ নিতে গেলে তাতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে যেখানে মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে সেসব জায়গায় স্থাপনা করা যাবে কিনা, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন আছে কিনা বা সেভাবে নকশা করা হয়েছে কিনা সেসব দেখা একান্ত প্রয়োজন। তা না হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা যেকোনো সময় ঘটতে পারে।
গত শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাতে অর্ধশত মানুষ দগ্ধ হয়।
যাদের মধ্যে গুরুতর ৩৭ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল। রোববার সকাল পর্যন্ত তাদের মধ্যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়।
প্রধানমন্ত্রী তার আলোচনায়, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানসহ ওয়ান ইলেভেন এবং বিডিআর এর ঘটনার সময় সাহারা খাতুনের সাহসী ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় আবারো বিএনপিকে দায়ী করেন তিনি।
বলেন, আমরা তো তখন কেবল সরকার গঠন করেছি। এটা কখনোই যুক্তিযুক্ত না যে সরকার গঠন করেই এমন একটা ঘটনা ঘটাবো যাতে দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়। মানে যারা সেসময় ক্ষমতায় আসতে পারেনি তারাই এর পেছনে ছিলো। একদিন না একদিন এসব সত্য বের হবে।
ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে স্মরণ করে তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, ১৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়, জরুরি সরকার এমন কি পদ্মাসেতুর দুর্নীতি নিয়ে যখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংক সরব তখন বাংলাদেশ এবং এই সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রণব মুখার্জি।