মোকাম্মেল হক মিলন: বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের মা মালেকা বেগম মঙ্গলবার সকাল ৭:৪০ মিনিটে তার নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন। বিকেলে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল জাদুঘর প্রাঙ্গনের ঈদগাহ মাঠে মরহুমার জানাজার আগে মরহুমার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতীয় পতাকা মুড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন এবং তোফায়েল আহমেদ এমপি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে সম্মান জানানো হয়।
এরপর মরহুমার জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজার পূর্বে তোফায়েল আহমেদ মোবাইলের মাধ্যমে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দ্যেশে বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের মা বীর মাতাকে আমার মায়ের মত শ্রদ্ধা করতাম। তার ছেলে মোস্তফা কামাল যেমন আমাদের গর্বের ছিলেন তেমনি তার মাও আমাদের শ্রদ্ধার ও গর্বের। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তোফায়েল আহমেদ এমপি, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীসহ ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক, জেলা পরিষদ প্রশাসক চেয়ারম্যান আঃ মমিন টুলু, পুলিশ সুপার সরকার মোঃ কাওসার, ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু, উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার দোস্ত মাহমুদ, ভোলা প্রেস ক্লাব সভাপতি এম হাবিবুর রহমান, প্রেস ক্লাব সেক্রেটারী অমিতাভ অপু, প্রেস ক্লাব কোষাধক্ষ মোকাম্মেল হক মিলন, দৈনিক আজকের ভোলা সম্পাদক আলহাজ্ব শওকাত হোসেন, দৈনিক দক্ষিন প্রান্ত সম্পাদক এডভোকেট নজরুল হক অনু, দৈনিক ভোলা দর্পণ সম্পাদক মোতাছিম বিল্লাহ, দৈনিক ভোলার বানী সম্পাদক মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, দৈনিক সময়ের চিত্র সম্পাদক এআর মামুনসহ বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গ গভীর শোক প্রকাশ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ভাতিজা ও মরহুমার নাতি মোঃ সেলিম প্রধানমন্ত্রী, সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষ, সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সহ জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সহায়তা করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর এই জানাজা মাঠে মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।