টাঙ্গাইলে সরকারী গাছ কেটে নেয়া অভিযুক্তদের ক্ষমা!

আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের বাসাইলে ১৯নং কাঞ্চনপুর দক্ষিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নেয়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এক সপ্তাহেও কোন প্রকার ব্যাবস্থা নেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কেউ। বরং বিদ্যালয়ে মিটিং করে ওই অভিযুক্তদের সাধারন ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। সরকারী সম্পদ তছরুফ করায় আইনানুসারে কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে স্কুলে মিটিংয়ের মাধ্যমে তাকে ক্ষমা করে দেয়ার বিষয়টি ওই এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা,ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়,সোমবার(১৪সেপ্টেম্বর) কাঞ্চনপুর ইউপি’র দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত ইউসুফ আলির  দুই ছেলে জনি এবং তারেক তাদের বাড়ি সংলগ্ন বিদ্যালয়ের সীমানা থেকে দুটি ইউক্যালিপটাস নামক কাঠগাছ কেটে নেয়।করোনা এবং বন্যার কারনে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বিষয়টি ওই দিন সংশ্লিষ্ট কারো নজরে পড়েনি। পরের দিন এলাকাবাসী বিষয়টি বিদ্যালয়ের দপ্তরীর মাধ্যমে প্রধান শিক্ষিকা জোবায়দা আক্তার এবং বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাদিকুর রহমান শাহীনকে অবগত করেন।
দুইদিন পর বৃহঃবার (১৭সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক,ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং এলাকাবাসীদের নিয়ে মিটিং করা হয়। মিটিং এ অভিযুক্ত তারেক এবং জনি দোষ স্বিকার করে ক্ষমা চায়। এসময় সরকারী সম্পদ তছরুফের দায়ে তাদের আইনের কাছে সোপার্দ না করে ক্ষমা করে দেয়া হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জোবায়দা আক্তার বলেন, ম্যানেজিং কমিটি এবং স্থানীয়দের সমন্বয়ে মিটিং করেছি। অভিযুক্তরা দোষ স্বিকার করায় তাদের ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। সরকারী সম্পত্তি তছরুফের অভিযুুক্তদের বিচার আপনারা করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,মিটিংয়ের রেজুলেশন কপি উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে জমা দেয়া হবে।
এবিষয়ে কাঞ্চনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সরকারী গাছ কেটে নিলে সেটার বিচার করার এখতিয়ার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা ম্যানেজিং কমিটির নেই।

বাসাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সদানন্দ পাল এ বিষয়ে বলেন, সরকারী সম্পদ তছরুফের সমাধান দেয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। বিষয়টি আমি অবগত নই।এবিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগও আসেনি। খোঁজনিয়ে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামছুন নাহার স্বপ্না বলেন, সরকারী সম্পদ তছরুফের বিচার তারা করতে পারেন না। বিষয়টি সম্পর্কে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly

Related Posts