ইউপি চেয়ারম্যান হতে চান আব্দুল করিম সরকার

জাকির হোসেন বাদশা, মতলব (চাঁদপুর):
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনের প্রার্থী আব্দুল করিম সরকার আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চেয়েছেন। মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সোমবার বিকালে এ নিয়ে কথা হয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল করিম সরকারের সাথে।

করিম সরকার জানান, বিগত ১৭ বছর যাবৎ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। দলের দুর্দিনে আমি নিজের অর্থ-সময় ও মেধা-শ্রম দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছি। এরআগেও দুইবার এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে অকৃকার্য হয়েছি। কিন্তু দলীয়ভাবে আমি কোন সহযোগীতা পাইনি। এবারের উপনির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিবেন বলেন আমার আত্মবিশ্বাস আছে।

আব্দুল করিম সরকার আরও বলেন, ১৯৭১ সালের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিঁয়ে পড়েছিলাম। সেই দিন বিএলএফ (মুজিব বাহিনী) এর একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। সেই থেকেই আমি একজন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। তারই ধারাবাহিকতায় দলের সাথে সম্পৃক্ত থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছি। দলের জন্য সারাজীবন পরিশ্রম করেছি। এখন আমার শেষ ইচ্ছা একবার সুলতানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়া। আমি আশা করি আমার রাজনৈতিক কর্মকান্ড বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এই উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেনে মনোনয়ন করে নৌকা প্রতীক দিবেন। আমার এই ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে একটাই চাওয়া, একবার ইউপি চেয়ারম্যান হতে চাই। চেয়ারম্যান হয়ে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল দেশ গড়ার অংশ হিসেবে কাজ করবো। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবো।

করিম সরকার ১৯৭৩ সালে মতলব কলেজ কেবিনেট নির্বাচনে ম্যাগাজিন ও প্রচার সম্পাদক পদে ছাত্রলীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত জনতা ব্যাংকে চাকরি করেন। তারপর থেকে তিনি চাকরি ছেড়ে নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ড সুচারু রূপে বাস্তবায়ন করতে থাকেন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। সেই সময়ে ভয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে কাউকে সম্পৃক্ত পাওয়া যেত না, মাত্র ১১ জন নেতাকর্মী সেই সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

Print Friendly

Related Posts