বরগুনার আদালত প্রাঙ্গণে কড়া নিরাপত্তা

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় বুধবার

ইফতেখার শাহীন, বরগুনা: আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর)। তাই পুলিশের কড়া নিরাপত্তা বেস্টুনির মধ্য দিয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রতিটি ফটক ও বাউন্ডারি ঘীরে ঢেলে সাজানো হয়েছে। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন। মূল দোষীদের যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়, এমন দাবি রিফাত শরীফের পরিবারের। অন্যদিকে সঠিক বিচার প্রত্যাশা করছেন মিন্নির বাবা।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্ত বয়স্ক দশ (১০) আসামীর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে। মামলার আসামীরা হল মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯), মুসা বন্ড (২২), আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।

গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নি সহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অফিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করে পুলিশ। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্ত বয়স্ক ১০ আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপরই ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন, রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামী পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। করোনা মহামারির কারণে আদালত বন্ধ থাকার পরেও অতি অল্প সময়ের মধ্যেই এই মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা হতে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ভূবন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্ত বয়স্ক ১০ আসামীর বিরুদ্ধে সাক্ষী, নানা যুক্তি, তথ্য ও উপাত্ত উপস্থাপনের মাধ্যমে আদালতকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। তার প্রত্যাশা আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।

অন্যদিকে এ মামলায় জড়িত ১৪ জন শিশুর বিচারিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

প্রসঙ্গত, শাহ নেওয়াজ রিফাত শরীফকে গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত নয়ন বন্ড ও তার সহযোগী সন্ত্রসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে রিফাত শরীফ নিজের পায়ে হেটে রিক্সায় উঠে স্ত্রী মিন্নির সহযোগিতায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা (শেবাচিম) হাসাপাতালে প্রেরণ করে। ওই দিনই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রিফাত শরীফ মারা যায়।

Print Friendly

Related Posts