বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ হোটেল সোনারগাঁয় শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। বিপুল ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাদল রায়কে হারিয়ে আবারও নিজের গদি ধরে রাখলেন গত ১২ বছর ধরে সভাপতির দায়িত্বে থাকা সালাহউদ্দিন।
সভাপতির পদে সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থী ও বর্তমান সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক দুই ফুটবলার বাদল রায় ও শফিকুল ইসলাম মানিক।
নির্বাচনে সালাহউদ্দিনের পক্ষে ভোট পড়েছে ৯৪টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও ফেডারেশনের বর্তমান সহ-সভাপতি বাদল রায় পেয়েছেন ৪০ ভোট।
তবে অবাক হতে হয়েছে মানিকের ভোট নিয়ে। নির্বাচনের আগে জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করা সাবেক এই ফুটবলার ও বর্তমানে কোচের দায়িত্ব পালন করা মানিক পেয়েছেন মাত্র একটি ভোট!
সালাউদ্দিনের পাশাপাশি নিজের পদ ধরে রাখতে পেরেছেন সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী, তিনি ভোট পেয়েছেন ৯১টি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মোহাম্মদ আসলাম পেয়েছেন ৪৪টি ভোট।
শনিবার ১৩৯ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৩৫ জন তাদের ভোট প্রদান করেছেন। মোট চারজন ভোট দেননি। চট্টগ্রাম আবাহনীর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তরফদার রুহুল আমিন ও ফরিদপুর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার, শেখ রাসেলের পরিচালক মাকসুদুর রহমান ও শেখ জামালের সভাপতি সাফওয়ান সোবহান ভোটে অংশ নেননি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন মেজবাহ উদ্দিন।
বাফুফের নির্বাচনে ২১টি পদের বিপরীতে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী ৪৭ জন। সভাপতি পদে লড়ছেন তিন জন। এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে লড়েছেন দুজন। চারটি সহ-সভাপতি পদে মোট ৮ জন লড়াই করেছেন। ১৫টি সদস্য পদে লড়াই করেছেন ৩৪ জন প্রার্থী।
চারটি সহ-সভাপতি পদে মোট ৮ জন লড়াই করেছেন। সম্মিলিত পরিষদ থেকে নির্বাচন করছেন কাজী নাবিল আহমেদ, ইমরুল হাসান, আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ও আমিরুল ইসলাম বাবু। সমন্বয় পরিষদ থেকে মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান ও আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান লড়ছেন। এছাড়া স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেছেন তাবিথ আউয়াল।