বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ করোনা আবহে ঘর জীবাণুমুক্ত রাখতে সারাক্ষণ স্প্রে কিংবা ফিনাইলের ব্যবহার করছেন । কিন্তু আপনার ঘর কি দূষণমুক্ত? বাইরে থেকে মনে হলেও আসলে সবসময় তা কিন্তু নয়।
বাজার থেকে এয়ার পিউরিফায়ার তো আমরা অনেকেই ব্যবহার করি। কিন্তু তার থেকে বহু গুণ ভাল বেশ কয়েকটি ইন্ডোর প্ল্যান্ট। এগুলি শুধু ঘরকে দূষণমুক্তই করে না, মন ভাল করে। এরকম কিছু ইন্ডোর প্ল্যান্টের সঙ্গে পরিচয় করা যাক। এই গাছের মাধ্যমেই উৎসবের আবহে বাড়ি হোক দূষণমুক্ত।
চাইনিজ এভারগ্রিন
নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এটির উৎপত্তি চিন দেশে। সে দেশে এটি বেশ জনপ্রিয়। বাতাসকে দূষণ মুক্ত করে, বাতাসকে বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ মুক্ত করে। কিন্তু এই গাছকে লালন-পালনের জন্য খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না। ছায়াতে ভাল থাকে এরা। তবে খেয়াল রাখতে হয় যেন টবের মাটি ভিজে থাকে।
স্নেক প্ল্যান্ট
এই গাছটিও বাতাসে অক্সিজেন যোগ করে বিভিন্ন দূষিত পদার্থ দূর করে। এর আরও বিশেষত্ব হল, এটি রাতেও ক্রমাগত বাতাসে অক্সিজেনের জোগান দিয়ে যায়। বদ্ধ ঘরের ক্ষেত্রে এটি আদর্শ গাছ। একে রাখার সবচেয়ে ভাল জায়গা হল শোওয়ার ঘর। জানালার অল্প আলো এবং সপ্তাহে একদিন জল, এদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন হয়।
মানি প্ল্যান্ট
এটি আমাদের কাছে পরিচিত একটি নাম। এই বাতাস শোধনের ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে নাসাও। রোদ এসে পড়ে না, এমন যে কোনও ঘরে একে রাখা যেতে পারে। সপ্তাহে একবার জল দিলেই যথেষ্ট।
এরিকা পাম
বাতাসকে শুদ্ধ করার ব্যাপারে এই গাছটির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে, বলছে আমেরিকান জার্নাল অব বটানির গবেষণাপত্র। এটি বারান্দা কিংবা বসার ঘরে রাখার পক্ষে আদর্শ একটি গাছ। অল্প আলো এবং মাঝে মধ্যে জল দেওয়া ছাড়া বিশেষ যত্নের দরকার পড়ে না।
জারবেরা ডেইজি
বাগানের সৌন্দর্যায়নের জন্য জারবেরা অন্যতম। এর বিপুল পরিমাণ অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতা এবং বাতাস থেকে দূষিত কণা দূর করার ক্ষমতা সম্পর্কে অসংখ্য গবেষণাপত্র রয়েছে। তবে এর জন্য শীতকাল ছাড়া সারা বছরই পর্যাপ্ত সূর্যরশ্মি প্রয়োজন হয়। ভাল করে জল দিতে হয়, যাতে মাটি সব সময় ভিজে থাকে। যদি জানলার পাশে রোদ এসে পড়ে, তাহলে শোওয়ার ঘর এই গাছ রাখার আদর্শ জায়গা।