বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ দারুণ খেলল স্পেন। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় কাজে লাগাতে পারল না একটা সুযোগও। খেলার ধারার বিপরীতে দারুণ কিছু সুযোগ এসেছিল পর্তুগালের সামনেও। কিন্তু জালের দেখা পায়নি তারাও।
গোলশূন্য ড্র হয়েছে ইউরোপের দুই পরাশক্তির প্রীতি ম্যাচ। গোলের বেশি কাছে গিয়েছিল পর্তুগাল। তাদের দুটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ক্রসবারে লেগে।
লিসবনে আড়াই হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে বুধবার রাতে শুরু থেকে পর্তুগালকে চেপে ধরে স্পেন। তৃতীয় মিনিটেই তারা পেয়ে যায় প্রথম ভালো সুযোগ। কিন্তু খুব কাছে থেকেও রুই পাত্রিসিওকে পরাস্ত করতে পারেননি জেরার্দ মোরেনো।
এরপরও অসংখ্য সুযোগ পায় তারা, কিন্তু সেভাবে পর্তুগিজ গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারেনি স্পেন। প্রথমার্ধে তাদের ১১ চেষ্টার চারটি ছিল লক্ষ্যে, সেগুলো সহজেই ফেরান পাত্রিসিও।
প্রথম পনের মিনিট নিজেদের রক্ষণ ছেড়েই তেমন একটা বের হতে পারেনি পর্তুগাল। ৩৫তম মিনিটে নেয় গোলের জন্য প্রথম শট। সবচেয়ে ভালো সুযোগটা পায় প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে। ফ্রি-কিক থেকে ডি-বক্সে বল পেয়েও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেনি অরক্ষিত ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।
খেলার ধারার বিপরীতে ৫৩তম মিনিটে প্রায় এগিয়েই যাচ্ছিল পর্তুগাল। রোনালদোর বুলেট গতির শট ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে মাঠে ফিরে। ফিরতি বলে রেনাতো সানচেস হেড রাখতে পারেননি লক্ষ্যে।
৬৮তম মিনিটে আবার ভাগ্যের ফেরে নষ্ট হয় পর্তুগালের সুবর্ণ সুযোগ। রোনালদোর ডিফেন্স চেরা দারুণ পাস পেয়ে বুলেট গতির শট নেন অরক্ষিত সানচেস। ক্রসবারে লেগে গোললাইনের একটু সামনে পরে বল ফেরে মাঠে।
আক্রমণ বেশি করছিল স্পেন। কিন্তু গোলের সবচেয়ে ভালো সুযোগগুলো তৈরি করছিল পর্তুগাল। মাঠে নেমেই গোলের দেখা পেয়ে যাচ্ছিলেন জোয়াও ফেলিক্স। ৭৫তম মিনিটে আতলেতিকো মাদ্রিদের তরুণ এই ফরোয়ার্ডের চেষ্টা দারুণ দক্ষতায় ব্যর্থ করে দেন কেপা আরিসাবালাগা।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে দলকে জেতানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ফেলিক্স। কর্নার থেকে দূরের পোস্টে বল পেয়েও অরক্ষিত এই ফরোয়ার্ড অবিশ্বাস্যভাবে বল জালে পাঠাতে পারেননি।
আগামী শনিবার নেশন্স লিগের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে স্পেন। এর তিন দিন পর খেলবে ইউক্রেনের বিপক্ষে। আগামী রোববার ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে পর্তুগাল, তিন দিন পর সুইডেনের বিপক্ষে খেলবে তারা।