ধামরাইয়ে যুবলীগের সভাপতি প্রার্থীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

মো. রাসেল হোসেন: পূর্ব শত্রুতার জেরে ঢাকার ধামরাই উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজুর ছেলে ও যুবলীগ নেতা জাহিদ হাসান দিপুকে হত্যার চেষ্টায় পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ উঠেছে।

আহত জাহিদ হাসান দিপু একই ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি পার্থী।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকালে এ বিষয়ে ধামরাইয় থানায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বাবা মিজানুর রহমান মিজু।

মামলায় আসামিরা হলেন- ধামরাই উপজেলার যাদবপুর এলাকার মৃত নায়েব আলীর ছেলে রেজুয়ান (৪৫), মোসলেস উদ্দিনের ছেলে আলমগীর (২৮), মজিদের ছেলে দুই ভাই সজিব (২৭) ও শিহান (২৫), আব্দুর জব্বারের ছেলে সালাম (৩৫), নুর মোহাম্মদ খোকার ছেলে করিম (৩২), রিয়াজ উদ্দিন ঘুঘুর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৮), আবুল হোসেনর ছেলে রুবেল হোসেন (২৭), মিন্টুর ছেলে এমরান (২২) ও নয়া মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন অনু (২৮)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ অক্টোবর যাদবপুর ইউনিয়নের গাবতলি এলাকায় নিজের ব্যবহৃত গাড়িটি রেখে জলিলের দোকানে চা পান করছিল দিপু। এসময় দিপুর সাথে রেজুয়ান বাহিনী পরিকল্পিতভাবে কথা কাটাকুটির পরিবেশ সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে রেজুয়ানের নেতৃত্বে আলমগীর, সজীব, সিহান, সালাম, আঃ করিম, জাহাঙ্গীর, রুবেল, এমরান, আনোয়ার সহ ২০/২৫ জন দিপুর উপর হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রসহ চাপাতি দিয়ে কোপায় ও বেধম মারধর করে। পরে স্বর্ণের চেন, আঙ্কটি, মোবাইল ও নগদটাকাসহ প্রায় লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। দিপু অজ্ঞান হয়ে গেলে মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেফার্ড করে। পরে সাভার সুপার ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

দিপুর বাবা মিজানুর রহমান মিজু বলেন, স্থানীয় একটি গোষ্ঠী যাদবপুরে মাদক ব্যবসা, শালিস বাণিজ্য, অবৈধ বালু ব্যবসা, জমি দখল, নারী কেলেংকারি, ছিনাতাই, সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি প্রভৃতি অপকর্ম করে যাচ্ছে। এখানে একটি পরিবার আছে যার সদস্যরা কখনও সুস্থ ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হোক তা চান না। বিভিন্ন সময় এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করার কারণেও তারা আমার ছেলের উপর ক্ষিপ্ত।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজাহার আলী বলেন, ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিক তদন্তের কাজও শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts