বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন আবাসিক এলাকাসমুহে ভূমির মালিকানা হস্তান্তরের অতিরিক্ত ফিস নির্ধারনের কারণে ভূমির হস্তান্তর, জমির রেজিস্ট্রেশনসহ অন্যান্য জটিলতায় একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, সিডিএ’র আওতাভুক্ত আবাসিক এলাকাসমুহে জমি বিক্রি, হস্তান্তর কমে গেছে। অনেকে প্রয়োজনে জমি কিনলেও জমির রেজিস্ট্রেশন সময়মতো করাচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে সিডিএ এর আওতাভুক্ত আবাসিক এলাকা সমুহে ভূমি হস্তান্তর ফিস কমানোর দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস প্রমুখ উপরোক্ত দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার ধাপে ধাপে বিভিন্ন সময় জমির রেস্ট্রিশন ফিস বৃদ্ধির কারণে জমি ক্রয়-বিক্রি অনেকটাই থমকে আছে। তার উপর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় আবাসিক ও বানিজ্যিক এলাকায় কাঠাপ্রতি ভূমি হস্তান্তর ফিস ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, আর তার উপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ এবং মৌজা ভ্যালু কাঠাপ্রতি ৪৫ লক্ষ টাকায় উন্নীত করায় জমি ক্রয় বিক্রয় রেজিস্ট্রিশন আশংকাজনক হারে হ্রাস পেয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকার জমি রেজিস্ট্রেশন খাতে কর বৃদ্ধি করায় অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার জমি ক্রয়ের আগ্রহ থাকলেও রেজিস্ট্রেশনের ভয়ে জমি ক্রয়ে সক্ষম হচ্ছে না। বিষয়গুলি নিয়ে বিভিন্ন সময় ভুমি রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে দাবি দাওয়া জানানো হলেও সরকার বিষয়টি আমলে নেন নি। ফলে ভূমি রেজিস্ট্রিশন খাতে সরকারের রাজস্ব আদায় শ্লথ গতি হয়ে আছে। আর এ অবস্থা চলমান থাকলে ভূমি রেজিস্ট্রেশন খাতে বিরোধসহ নানা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।