আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের তিনদিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আসামিরা পলাতক থাকার কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না। এদিকে ওই নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম সুবিচার না পাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে দেখতে যান। এছাড়া তিনি বুধবার গোপালপুর ওই কলেজ ছাত্রীর বাড়িতেও যান। এদিকে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ সোস্যাল মিডিয়ায় অশালীন মন্তব্য, হুমকিসহ বিভিন্ন লেখা দিয়ে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে প্রচারণা ও সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ডা. জাকিয়া শাফি সাংবাদিকদের জানান, শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ পেলেও সোয়াপ রিপোর্ট না আাসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্বাধায়ক ডা. সদর উদ্দিন বলেন, কলেজ ছাত্রীকে নির্যাতন ও ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ মানবাধিবার বাস্তবায়ন সংস্থার জেলা শাখার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ বলেন, ধর্ষণের মেডিক্যাল রিপোর্ট পেতেই হবে এরকম কোন বাধ্যবাধকতা নেই। সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং ভিকটিমের জবানবন্দির ভিত্তিতেও বিজ্ঞ আদালত ইতোপূর্বেও আসামিদের শাস্তি দিয়েছেন। হাইকোর্টেরও এমন নির্দেশনা আছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, গণধর্ষনের বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে। খুব দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, মেয়েটির স্বাস্থ্যগত এবং মামলার অগ্রগতি বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এসময় ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রভাবমুক্ত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছি।