হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের ১০নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত সদস্য (২০০৫ সালে ২৭ জানুয়ারি বৈদ্যের বাজারে শাহ এএমএস কিবরিয়ার ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় আহত) হবিগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শায়েস্তাগঞ্জের কৃতিসন্তান সমাজসেবক আব্দুল্লাহ সরদার শপথ নিয়েছেন।
রোববার (২২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকায় সচিবালয়ের সভা কক্ষে এ শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি।
সফলতার সহিত শপথ নিতে পেরে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, হবিগঞ্জের মাটি মানুষের নেতা জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির, শায়েস্তাগঞ্জের মাটি মানুষের নেতা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবালসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকতাশ করেন। তিনি তৃণমূল মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে সকলের সহযোগীতা ও দোয়া কামনা করেছেন।
জানা গেছে, আব্দুল্লাহ সরদার জীবনের শুরু থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছেন। সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পছন্দ করেন বলেই লোকজনের কাছে তিনি সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসের সাথে কথা বলেন। ন্যায়নীতিতে চলছেন। মানুষের দোয়া ও ভালবাসা চান। মানুষের দোয়ায় তিনি বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলা থেকে প্রাণে রক্ষা পান।
তবে এখনও গ্রেনেডের অসংখ্য স্পিøন্টার দেহে নিয়ে বেঁচে আছেন আব্দুল্লাহ সরদার। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ সরদার। আজ অবধি তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেননি। তখন তিনি ছিলেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
সেই সময় গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হলে তাকে বারডেম হাসপাতালে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার তত্ত¡াবধানে চিকিৎসা করানো হয়। পরেও জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন। এ জন্য তিনি নেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। উল্লেখ্য, ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে আব্দুল্লাহ সরদার জয়ী হন।
মামুন/এইচ