বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ তথ্য প্রযুক্তির ক্রমবিকাশমান ধারার সাথে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে তুলতে এবং প্রতিযোগীতা মূলক চাকরি বাজারে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘একজন ছাত্র একটি ল্যাপটপ’ প্রকল্পের নিয়মিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ২৩তম পর্বে রবিবার (২২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্বাধীনতা’ মিলনায়তনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ৩০০০টি 10th Generation এর ডিসিএল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুবুল হক মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চূয়াল যোগ দেন সরকারের আইসিটি সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট এফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমিক এফেয়াস ডীন প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল।
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের সহায়তায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১০ সালের সামার সেমিস্টার থেকে এ পর্যন্ত ৩০০০০ ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ বলেন, আজ থেকে বার বছর আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন বর্তমান সরকার দেখেছিল সেই স্বপ্ন পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের শিক্ষার্থীদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত করার মাধ্যমে দেশকে দক্ষ মানবসম্পদ উপহার দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের শিক্ষা কার্যক্রমেও প্রশংসনীয় উন্নয়ন ঘটিয়েছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ন ভমিকা পালন করার পাশাপাশি আইসিটি ডিভিশনের বিভন্ন কর্মকান্ডে ও প্রকল্পে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান রেখে চলেছে ।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে প্রচুর উদ্যোক্তা প্রয়োজন বলে প্রধানমন্ত্রী বার বার তরুনদেরকে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, তার সেই প্রত্যাশিত উদ্যোক্তা উন্নয়নে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুবুল হক মজুমদার বলেন, বেকারমুক্ত দেশ গড়া ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে ল্যাপটপ তুলে দেওয়া। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বাস করে, এই ল্যাপটপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে কর্মজীবনের জন্য দক্ষরূপে গড়ে তুলতে পারবে।
দেশ বিদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে ওঠার সুযোগ পায়। এছাড়াও তাদেরকে এপ্লয়াবিলিটি ৩৬০ ডিগ্রি, আর্ট অব লিভিংসহ বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করতে হয়, যার মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থী গ্রাজুয়েট হওয়ার পাশাপাশি দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়। এজন্য ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা পাশ করার পর বেকার থাকে না বলে মন্তব্য করেন উপ-উপাচার্য।