বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাস সংক্রমণে মারা গেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী। করোনা উপসর্গ দেখা দেবার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী সাব এডিটরদের সংগঠন সাব এডিটর্স কাউন্সিলের দু’বার নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। তিনি দৈনিক নয়া দিগন্তের সাবেক অতিরিক্ত বার্তা সম্পাদক ও অর্থনীতি প্রতিদিনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া চট্টগ্রামের দৈনিক নয়া বাংলা, ঢাকার দৈনিক দিনকাল, দৈনিক আমার দেশ, পাক্ষিক পালাবদলসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ছিলেন। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ছিলেন।
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমীন রুকন এক বিবৃতিতে হুমায়ুন সাদেক চৌধূরীর আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। বিবৃতে তারা বলেন, হুমায়ুন ছিলেন একজন সরলপ্রাণ মানুষ। সাদামাটা জীবনের আপাদমস্তক সংবাদকর্মী। তারা শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
হুমায়ুন সাদেক চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম এবং প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।
হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি গ্রামে ১৯৬০ সালের ৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই বইয়ের সঙ্গে সখ্য ছিল তার। সেই সূত্রে লেখালেখির জগতে। মূলত শিশুসাহিত্যই ছিল তার অঙ্গন। তার প্রথম লেখা ১৯৭৬ সালে ছাপা হলেও প্রথম বই কিশোর কবিতাগ্রন্থ ‘এক কিশোরের মন’ প্রকাশ হয় ২০০৯ সালে।
ফেসবুকে গত ১৭ নভেম্বর তার শেষ স্ট্যাটাসটি ছিল এ রকম-
চারদিকে কেবল শুনি, ”বাঁচাও, বাঁচাও!!”
কাকে বাঁচাব, কী বাঁচাব?
বন্য প্রাণী বাঁচাও, বাঘ বাঁচাও, সাপ বাঁচাও, কুত্তা বাঁচাও… এমন আরও কত কী।
কোনোটাতেই আপত্তি নেই আমার। বাঁচার ও বাঁচানোর অধিকার সবার আছে।
কিন্তু হতাশ লাগে তখনই, যখন কেউ বলে না, ”মানুষ বাঁচাও!”
পরক্ষণেই ভাবি, কে বলবে ”মানুষ বাঁচাও!” বন্য প্রাণী, বাঘ, সাপ, কুত্তা কেউ তো দল বেঁধে মানুষকে মারতে আসছে না, সারা পৃথিবীতে মানুষ নিজেই নিজেকে মারছে। তাঁকে বাঁচাতে ডাক দেবে কে, আর সে ডাক শুনবেই বা কে!