বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা বায়ু দূষণ। বায়ুদূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ৮০০ কোটি টাকার বিশাল বড় বাজেট দিলেও বেশিরভাগ অর্থ খরচ করা হয়েছে অপ্রয়োজনে। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমনটি ফুটে উঠেছে। সারা বাংলাদেশে সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের উদ্যোগে সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বায়ুদূষণ রোধে মানববন্ধন করার উদ্যোগ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে সংগঠনের পরিচালনা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের ধারাবাহিক জুম মিটিং শুরু হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর ২১ সদস্য বিশিষ্ট সবুজ আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলা আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান, বাপ্পি সরদার ও মহাসচিব, মহসিন সিকদার পাভেল।
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুন কবিরকে আহ্বায়ক ও সুলতানা আয়েশাকে সদস্য সচিব করে নতুন কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হন উৎপল আজিজ, ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম, এম এ রহিম, নুরুল কবির, সোনিয়া আজাদ, মাহাতাব হোসেন চৌধুরী। অন্যান্য সদস্যরা হলেন মোঃ জাবেদ হোসেন, ফারাহ আমেনা, রাশেদুল আজীজ, মুনা নার্গিস, নজরুল আজাদ, নাদিরা সুলতানা হেলেন, আব্দুল কাদের, আয়াজ আহমেদ, মোঃ ফোরকান রাসেল প্রমূখ।
নতুন কমিটির আহ্বায়ক কাজী হুমায়ুন কবির বলেন, সবুজ আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলা নতুন আহবায়ক কমিটিসহ প্রত্যেকটি সদস্য জলবায়ু ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধে জনসচেতনতা তৈরিতে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে চট্টগ্রামের জন্য। আমরা খুব দ্রুত জেলা আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে বর্তমান সময়ের আলোচিত প্রধান সমস্যা বায়ুদূষণ রোধে সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসককে আহ্বান জানাব এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার। অতি দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।
নব নির্বাচিত সদস্য সচিব সুলতানা আয়েশা বলেন, আমরা চট্টগ্রামের বাসিন্দা হিসেবে হালদা নদী দূষণ সহ অন্যান্য নদী রক্ষায় কাজ করব। পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে চট্টগ্রাম আজ দূষণের নগরে পরিণত হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে চট্টগ্রামের জনগণ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পতিত হবে। আমরা তা হতে দিতে পারিনা।
নতুন কমিটির সকল সদস্যকে সবুজ আন্দোলনের পরিচালক ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি, নাসিরুল ইসলাম নাসির ও সাধারণ সম্পাদক, উদয় খান অভিনন্দন জানান।