বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ দুর্দান্ত একটা ফাইনাল দেখল বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে যে পরিমাণ উত্তেজনা, রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত থাকা দরকার, আজ সবই ছিল। তবে শেষ হাসি হাসল তারকাবহুল দল জেমকন খুলনা। গাজী গ্রুপের তরুণ তুর্কীরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করে হার মেনেছে ৫ রানে। খেলার ফল আসতে অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ বল পর্যন্ত। ফাইনালে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতেছেন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। আর সিরিজ সেরা হয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
১৫৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতোই উড়ন্ত সূচনা করেন লিটন আর সৌম্য। শুভাগত হোমের বলে ১২ রান করা সৌম্য আউট হলে ভাঙে ২৬ রানের জুটি। বাউন্ডারি দিয়ে রানের খাতা খোলা লিটনকে আজ সাবলীল মনে হচ্ছিল না। ২৩ বলে ২ বাউন্ডারিতে ২৩ রান করে তিনি রান-আউট হয়ে যান। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ৭ রানে ফেরার পর দলের হাল ধরেন সৈকত আলী আর শামসুর রহমান। ২১ বলে ২৩ করা শামসুর হাসান মাহমুদের বলে শুভাগত হোমের তালুবন্দি হন। খুলনা আঁটসাট বোলিংয়ে তাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রানের। বোলার শহীদুল ইসলাম। প্রথম বলে ১ রান নেন সৈকত আলী। পরের বলে মোসাদ্দেক নেন ২ রান। তৃতীয় বলেই শুভাগত হোমের তালুবন্দি হয়ে ফিরেন ১৪ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ১৯ রান করা মোসাদ্দেক। পরের বলে আবারও উইকেট। শহীদুলের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে যান ৪৫ বলে ৪ ছক্কায় ৫৩ রানের চমৎকার ইনিংস উপহার দেওয়া সৈকত আলী। তবে শহীদুলের হ্যাটট্রিক আর হয়নি। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। নাহিদুল ইসলাম বিশাল একটা ছক্কা হাঁকালে চট্টগ্রামের পরাজয়ের ব্যবধান কমে আসে। চট্রগ্রাম থামে ৬ উইকেটে ১৫০ রান তুলে।
এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে জেমকন খুলনা। তাদের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। স্কোরবোর্ডে কোন রান যোগ হওয়ার আগেই ইনিংসের প্রথম বলে নাহিদুল ইসলামের শিকার হন ওপেনার জহরুল (০)। দলীয় ২১ রানে আউট হন ইমরুল কায়েস (৮)। শিকারী সেই নাহিদুল। এই টুর্নামেন্টে ইমরুলের আর ফর্মে ফেরা হলো না। আরেক ওপেনার জাকির হাসান ২০ বলে ২৫ রান করে মোসাদ্দেক হোসেনের শিকার হন। খুলনার বিপদের পরিত্রাতা আরিফুল হক আজ ২১ রানে শরিফুলের শিকার হন।
দলের যখন এই অবস্থা, তখন একপ্রান্ত আগলে প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর চড়াও হন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ৭০* রানে। মাহমুদউল্লাহর ইনিংসে ছিল ৮টি চার এবং ২টি ছক্কার মার। পিঞ্চ হিটার শুভাগত হোম ১২ বলে ১৫ রান করেন। ডিমোশন পেয়ে ৭ নম্বরে নামা মাশরাফি বিন মুর্তজা ৬ বলে ১ চারে করেন ৫ রান। তাকে সৌম্য সরকারের তালুবন্দি করেন আরেক পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। নাহিদুল শরীফুল ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। মুস্তাফিজ আর মোসাদ্দেক নিয়েছেন ১টি করে।