বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ জয়পুরহাট সদরের পুরানাপৈল রেলগেটে ট্রেনের ধাক্কায় বাসের ১২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চারজন। দুর্ঘটনার পর থেকে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ছয়জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন মারা গেছেন।
জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর জাহান জানান, হতাহতরা সবাই বাসযাত্রী বলে জানা গেছে।
নিহতদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, বাসচালক সদর উপজেলার হারাইল গ্রামের মামুনুর রশিদ, হিচমী গ্রামের মানিকের ছেলে রমজান, পাঁচবিবি উপজেলার আটুল গ্রামের সরোয়ার হোসেন, আরিফুর রহমান রাব্বি, আক্কেলপুর উপজেলার চক বিলা গ্রামের দুদু কাজীর ছেলে সাজু মিয়া ও নওগাঁর রানী নগর উপজেলার বিজয়কান্দি গ্রামের বাবু।
জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম বলেন, পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা উত্তরা এক্সপ্রেস রাজশাহীতে যাচ্ছিল। জয়পুরহাট থেকে ছেড়ে আসা বাঁধন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস (বগুড়া জ-১১-০০০৮) হিলি স্থলবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে বাসটি পুরানাপৈল রেলগেটে উঠে পড়ে। এতে ট্রেনটি ওই বাসকে ধাক্কা দিয়ে ৪০০ মিটার দূরে নিয়ে যায়। বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ১০ জনের মৃত্যু হয়।
জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সালাম কবির জানিয়েছেন, পুরানাপৈল রেলগেটে ট্রেন দুর্ঘটনার সময় গেটম্যান ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় রেলক্রসিংয়ের গেট খোলা ছিল।