এস এম দুলাল: মানুষের মৌলিক চারটি চাহিদার অন্যতম শিক্ষা । উন্নত জাতি গঠনে শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। বর্তমান সুযোগ্য শিক্ষা মন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টায় বিশ্বায়নকে উপলব্ধি করে সময়োপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নানা মুখি বাস্তব সম্মত ও কর্মমূখী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে ।
যেসব সুদক্ষ যোগ্য সৎ কর্মকর্তা সরকারের ভিশন ব্যস্তবায়ন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরই একজন শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব ) বেগম বুলবুল আখতার।
১৯৮৫ সালের জুন মাসে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগে সহকারী প্রকৌশলী পদে চাকুরীতে যোগদান করেন বুলবুল আখতার । তার চাকুরী জীবনে সরকারের নিয়ম-নীতি ও দিকনির্দেশনা মেনে সুপারিনটেনডেন্ট প্রধান প্রকৌশল অফিস, সাভার নির্বাহী প্রকৌশল, টাঙ্গাইল নির্বাহী প্রকৌশল, রাজশাহী নির্বাহী প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে নওগাঁতে দায়িত্ব পালন করেন।
টেন্ডার, ডিজাইন, পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কাজে তার অনেক সফল পদচারণা। দায়িত্ব পালন কালে সেবাগ্রহীতা ও সহকর্মীদের কাছে সুনাম ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন।
বুলবুল আখতার যেসব জেলা ও বিভাগীয় অফিসে দায়িত্ব পালন করেছেন সেসব অফিসকে ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম ও হয়রানী মুক্ত করেছেন। তার বিষয়ে প্রকৌশল বিভাগে জানতে চাইলে তারা বলেন বুলবুল আখতার স্যারের মতো প্রত্যেক সেক্টরে যদি এমন অফিসার হতো তাহলে দেশে এতো দুর্নীতি ও অনিয়ম থাকতো না। বুলবুল আখতার কথা মনে করে ঐ অফিসের এক সহকর্মী আবেগে আপ্লুত হয়ে যায়।
বুলবুল আখতার এর ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র সন্তান আছে। তিনি বেসরকারী মোবাইল অপারেটর কোম্পানীতে চাকুরী করছেন। ২০১৬ সালে বুলবুল আখতার জটিল রোগে আক্রান্ত হন। তার চিকিৎসা করার মতো আর্থিক সামর্থ্য ছিল না। তিনি তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবী এবং সহকর্মীদের সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে এক বছর চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এক বছর চিকিৎসা শেযে তিনি জটিল রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করেন। বর্তমানে তিনি পূর্ণ সুস্বাস্থ্যের অধিকারি।
লোভনীয় পদে চাকুরী করার পরও ঢাকায় তার নিজের কোনো জমি বা ফ্ল্যাট নেই। সর্বশেষ তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মণ্ত্রীর আস্থা, ভালোবাসায় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদে থেকে প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব বিচক্ষণতার সাথে পালন করেন। গত ১৯ নভেম্বর, ২০২০ থেকে অবসরজনিত ছুটিতে আছেন।
বুলবুল আখতারের সততা, কর্মদক্ষতা বিবেচনা করে উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টি সুবিবেচনা করা দরকার বলে সুশীল সমাজ মনে করেন।