জানা যায়, প্রফেসর ড.হারুন অর রশীদ ও প্রফেসর আ.ক.ম মোস্তফা জামান দুজনই সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) থেকে লেখাপড়া করেছেন। তাদের দুজনের সার্টিফিকেট একই। প্রফেসর ড. হারুন অর রশীদ পবিপ্রবিতে ৪ বছর ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তখন এ বিষয় নিয়ে কোন কথা হয়নি। বর্তমানে প্রফেসর আ.ক.ম মোস্তফা জামান কিছু কিছু মানুষের ব্যাক্তিগত আক্রোশের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় প্রফেসর আ.ক.ম মোস্তফা জামান স্যারের সাথে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান প্রফেসর মিজানুর রহমান, প্রফেসর ড. হারুন অর রশীদ পবিপ্রবিতে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনিও আমার ক্লাসমেট। আমরা একই সাথে পড়াশোনা করেছি। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট সহ দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৮০/৯০ জন প্রফেসর রয়েছে যারা একই স্টাইলে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে পড়াশোনা করে সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন।”
তিনি বলেন, হিংসাত্মক মন মানসিকতা নিয়েই কতিপয় কিছু মানুষ মিথ্যাচার করছে। আমি যখন লেকচারার হিসেবে জয়েন করেছিলাম তখন থেকেই সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশন হয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এখন প্রফেসর হিসেবে নিযুক্ত আছি। কারো কারো মনে হয়েছে এসব আজেবাজে কথা লিখে কিছু করা যাবে তাহলে তো প্রফেসর মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মাহমুদ সম্পর্কেও লেখা উচিত।
অন্তত ছয় বা সাত হাজার বাংলাদেশি সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে লেখাপড়া করে বহু জায়গায় কর্মরত আছেন, তাদের সম্পর্কেও লেখা উচিত। বর্তমানে যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে সেখানেও অনেকই কর্মরত আছেন। এগুলো নিয়ে যারা সন্দেহ করে তারা তো বাংলাদেশকে অস্বীকার করে। কারণ, বাংলাদেশ সরকার থেকে এগুলো স্বীকৃত। কেউ কেউ হয়তো আমার প্রতি ক্ষুব্ধ, হয়তো আমাকে অপছন্দ করে- যার কারণে এমনটা করছে। তবে এটি করলে তো ৩০ বছর আগেই করা উচিত ছিল আজকে কেন? যারা এমনটা করেছে তারাই হয়তো ভাল জানেন। তবে কেউ যদি সামনে এসে বলেন তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আমি প্রস্তুত।
উল্লেখ্য যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় পর্যায়ের বিভিন্ন দায়িত্বে থাকার পরেও প্রফেসর আ.ক.ম মোস্তফা জামান স্যারকে কোনো কলঙ্ক কখনো স্পর্শ করতে পারেনি, একটি মহল এখন তাকে নিয়ে বিভিন্ন ফেইক ফেসবুক আইডি এবং নানা মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।