মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন (এমআইইজেড)-এ আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনকৃত ৫০টি প্রতিষ্ঠানের ১৪টি মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর প্রতিষ্ঠিত ইকোনমিক জোন-গুলোতে অবস্থিত। এর মধ্যে ৭টি বিদেশী প্রতিষ্ঠান এবং বাকী ৭টি এমজিআই-এর মালিকানাধীন।
২০ নভেম্বর উদ্বোধনকৃত এমজিআই-এর প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ হয়েছে ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ইতিমধ্যে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৩০০০ লোকের।
এমজিআই-এর মালিকানাধীন অর্থনৈতিক অঞ্চল মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন (এমআইইজেড)-এ এই উদ্বোধন উপলক্ষে ছিলো বিশেষ আয়োজন। এমআইইজেড-এর এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, এমপি, বেজা-এর নির্বাহী সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ আলী আহসান, নারায়ণগঞ্জ-এর সম্মানিত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ-এর সম্মানিত পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, পিপিএম (বার), এমজিআই-এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনাব তায়েফ বিন ইউসুফ, এমজিআই-এর সম্মানিত চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব মোস্তফা কামাল, এবং বিনিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিবৃন্দ।
মেঘনা ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন (এমআইইজেড) ১২৩ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। ২০১৭ সালে চূড়ান্ত লাইসেন্স প্রাপ্তির পর এই জোন-এ অস্ট্রেলিয়া, জাপান, জার্মানি, চীন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও ভারতের বিনিয়োগকারী কর্তৃক মোট ১১টি বিদেশী প্রতিষ্ঠান এবং দেশীয় ১১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান সহ মোট ২২টি শিল্প ইতোমধ্যে স্থাপিত হয়েছে। জোন এবং জোনভুক্ত শিল্পে এই পর্যন্ত মোট দেশীয় বিনিয়োগ হয়েছে ৪৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং FDI হয়েছে ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে মোট ৯৫০০ লোকের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য ভারত, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, মায়ানমার, কোরিয়া, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা, স্পেন, নেদারল্যান্ড-এ রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া আমেরিকা, জার্মানি ও ইতালি-এর কয়েকজন বিনিয়োগকারী এই জোন-এ শিল্প প্রতিষ্ঠায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পরিবেশবান্ধব এই অর্থনৈতিক অঞ্চল একটি দৃষ্টিনন্দন মনোরম স্থাপনা। প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ইত্যাদি এই জোন-এ যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন সম্ভব হয়েছে।