২০২৪ শিক্ষাবর্ষের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী আজ বুধবার (৩ জুলাই) ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। এই মূল্যায়ন চলবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত।
এবার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। মূল্যায়ন চলবে ৫ ঘণ্টাব্যাপী। প্রথমে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৩০ মিনিট বিরতির পর দলীয় কাজ।
দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা নির্দেশনা মেনেই বইসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ নিয়ে স্কুলে গেছে। প্রথমবারের মতো এমন মূল্যায়নে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বলছে, নতুন শিক্ষাক্রমের এই মূল্যায়ন বেশ সহজ।
সাতটি স্কেলে ফলাফল মূল্যায়ন করা হবে, সেগুলোর নাম হবে অনন্য, অর্জনমুখী, অগ্রগামী, সক্রিয়, অনুসন্ধানী, বিকাশমান ও প্রারম্ভিক।
আগের নিয়মে স্কুলে নিয়মিত উপস্থিতি, ব্যবহার, সততা, নেতৃত্বের গুণাবলী, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য কোনো নাম্বার ছিল না। সব নাম্বারই ছিল পরীক্ষায় লেখার ওপর। তবে নতুন নিয়মে এসব কিছুরই মূল্যায়ন আছে। শিক্ষকরা বলছেন, মূল্যায়ন এখন আর মুখস্ত নির্ভরতার ওপর সীমাবদ্ধ নয়।
তবে সারা দেশে এই পরীক্ষা শুরুর নির্দেশনা থাকলেও রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, পরীক্ষা শুরুর কথা জানে না এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঈদের ছুটি শেষে বুধবার বিদ্যালয় খোলার প্রথম দিনে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী না আসায় বাধ্য হয়েই পরীক্ষা নেয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যায়ন পদ্ধতির খসড়া তৈরি করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। লিখিত পরীক্ষা না রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলেও অভিভাবকদের চাপের মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মূল্যায়ন পদ্ধতি ও পাঠ্যক্রমের জন্য একটি সমন্বয় কমিটি (এনসিসি) গঠন করে দেয়। গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এনসিসিসি’র সভায় এনসিটিবি’র মূল্যায়ন কৌশলের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীও সভায় উপস্থিত ছিলেন।