মহিউদ্দিন সবুজ, তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি : বুধবার ৩১ জুলাই রাজধানীর মহাখালীতে পরিদর্শনে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। সকালে জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালেসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা রোগীদের দেখতে আসবেন তিনি। নিরাপত্তা চাদরে রাখা হয়েছে পুরো এলাকা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নজিরবিহীন উত্তাল ছিল রাজধানীর মহাখালী। আন্দোলনের সময় গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকাটির একাধিক স্থাপনায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। কারফিউ জারির পর থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে মহাখালী।
মঙ্গলবার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ছেড়েছে বাস। মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় সরেজমিন দেখা যায়, মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাসগুলো চলতে শুরু করেছে। তবে এখান থেকে রাজধানীর ভেতরে যাতায়াত করছে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল।
এদিকে মহাখালীর কাঁচাবাজারের কাছে চেকপোস্ট বসিয়েছে সেনাবাহিনী। চেকপোস্টে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে তল্লাশি করে পার হতে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মহাখালী থেকে কমলাপুর যাবেন আবুল হোসেন। তিনি বলেন, বাসে যেতে ২০-৩০ টাকা লাগে; কিন্তু বাস কম থাকায় অটোরিকশায় (সিএনজি) যেতে হচ্ছে। ফলে ভাড়া গুনতে হচ্ছে ২৫০ টাকা।
মোটরসাইকেল রাইডার শামীম ইসলাম বলেন, কারফিউ থাকায় চলাচলে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে। এর পরও জীবিকার তাগিদে রাস্তায় বের হতে হয়েছে। তবে যাত্রী কম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসেও মিলছে না যাত্রী। মাঝেমধ্যে দুই-একজন যাত্রী পেলেও পর্যাপ্ত ভাড়া দিতে চান না।
সিএনজিচালক সাত্তার মিয়া বলেন, কারফিউ শিথিল থাকা অবস্থায় কিছু যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। তবে অন্যান্য সময়ে একেবারেই নেই। স্বাভাবিক সময়ে ২-৩ হাজার টাকা আয় করলেও এখন ১ হাজার টাকা হচ্ছে না। অধিকাংশ গ্যাসপাম্প বন্ধ থাকায় গ্যাস নিতেও সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে আন্দোলনকারীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে যায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মহাখালী টোল প্লাজা। ফলে এ অংশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী এলাকায় পরিদর্শন করে গেছেন।