সচল শিল্প কারখানার বেতন-ভাতা পরিশোধে পাবে বিশেষ ঋণ


অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিস্থিতিতে ব্যবসায়িক পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে। ফলে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এসব বিবেচনায় সচল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে বিশেষ ঋণ সুবিধা পাবেন শিল্পখাতের মালিকরা। এই ঋণের সুদ ছাড়া অন্য কোনো প্রকার অতিরিক্ত সুদ, মুনাফা, ফি ও চার্জ দিতে হবে না।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সাম্প্রতিক অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়িক পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে। এতে করে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কার্যক্রম এবং রপ্তানিমূল্য যথাসময়ে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এমন অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারছে না। উৎপাদন সক্ষমতা বজায় রেখে রপ্তানির গতি অব্যাহত রাখতে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে।

এই ঋণ সুবিধা দিতে যেসব বিষয় অনুসরণ করা হবে –

সচল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের আগস্ট ২০২৪ মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধের নিমিত্ত চলতি মূলধন ঋণসীমার বাইরে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে গ্রাহকের সক্ষমতা বিবেচনায় মেয়াদী ঋণ সুবিধা প্রদান পাবে। ঋণ সুবিধার পরিমাণ ঋণগ্রহীতা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিগত তিন মাসের প্রদত্ত গড় বেতন ও ভাতার বেশি হবে না।

যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান মোট উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ রপ্তানি করে তারা রপ্তানিমুখী শিল্প এবং যে সকল প্রতিষ্ঠান তাদের শ্রমিক-কর্মচারীদের মে থেকে জুলাই মাসের বেতন পরিশোধ করেছে তারা সচল হিসেবে বিবেচিত হবে। সচল ও রপ্তানিমুখী হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্য সংগঠনের (বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ইত্যাদি) প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে। ঋণের বিপরীতে বাজারভিত্তিক প্রচলিত সুদহার প্রযোজ্য হবে।

ঋণসহ গ্রাহকের মোট ঋণ একক গ্রাহক ঋণ সীমা মধ্যে থাকতে হবে; ঋণের অর্থ মেয়াদী ঋণ আকারে ৩ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১ বছরে সমকিস্তিতে (মাসিক/ত্রৈমাসিক) আদায় করতে পারবে ব্যাংক এবং এ ঋণের সুদ ছাড়া অন্য কোনো প্রকার অতিরিক্ত সুদ, মুনাফা, ফি ও চার্জ নিতে পারবে না।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts