মৌলিক অধিকারের সমতা, বিশ্বাসের স্বাধীনতা ও উদার গণতন্ত্র- এই ৩ মূল লক্ষ্যকে ধারণ করে নতুন রাজনৈতিক দল “সমতা পার্টি’ আত্মপ্রকাশ করেছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে সমতা পার্টি আত্মপ্রকাশ করে।সমাবেশে হানিফ বাংলাদেশীকে আহ্বায়ক এবং জিয়াউর রহমান, জামাল উদ্দিন রাসেল, কনিক রায়, মাহবুবা নার্গিস সানু, ডেবিড সন, কমল বড়ুয়া, শিহাব উদ্দিন, তপন কান্তি ভৌমিক, সৌরভ হোসেন বেলাল, এনায়েত আহম্মেদ, মো. হালিম রাজ, আবু নোমান, মো. আহসান হাবিব ও আল কায়সার কে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশে সমতা পার্টি ঘোষণা করে যেঃ
১। লক্ষ লক্ষ শহীদের কাঙ্খিত স্বাধীনতার স্বপ্ন ও দেশবাসীর আকাঙ্খিত বৈষম্যহীন সমাজ, উদার গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বিশ্বাসের স্বাধীনতা, রাষ্ট্রীয় সম্পদের সমতা, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে দুর্নীতিমুক্ত শোষনহীন ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে নাগরিক অধিকার আদায়ে এবং জনগণের সমস্যা সমাধান, নিজস্ব ভূমিকা পালনে এবং দৈনন্দিন দাবি—দাওয়া আদায়ে আন্দোলন—সংগ্রামে সমতা পার্টি সক্রিয় থাকবে।
২। অর্থনৈতিক মুক্তি লক্ষে প্রত্যেক গ্রামে বহুমুখী গ্রাম সমবায় সমিতি গড়ে তুলে চাষ যোগ্য ভূমি সমিতির অধীনে চাষের আওতায় আনতে কাজ করবে। ব্যক্তি মালিকানা ও সমবায় মালিকানার মধ্যে সমন¦য় ঘটিয়ে প্রত্যেক নাগরিকের অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটাতে কাজ করবে। দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেতে দূর্নীতির বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে, শ্রমিক শোষন লাগবে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখা বাধ্যতামুলক করতে কাজ করবে।
৩। শতভাগ মানুষের মতামতের মূল্যায়ন করতে হলে একটি দলের দেশব্যাপী সংখ্যানুপাতিক প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সংসদে সে দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে নতুন আইন করতে হবে (একটি দল সারাদেশে যত % ভোট পাবে তার উপর ভিত্তি করে সংসদে তত % প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে) এই আইন প্রণয়নে জনগণকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ করবে। জনগণের ন্যায্য অধিকার অর্জন ও সংরক্ষণের জন্য বর্তমান বিশ্বের উপযোগী জাতীয় নীতি প্রণয়নের জন্য সংগ্রামে থাকবে।
৪। কর্মক্ষম জনগণ, ছাত্র যুব তরুন সমাজের মেধা—প্রতিভার বিকাশ, পেশাগত মানোন্নয়ন ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালাবে। নৈতিকতা বিরোধী অসামাজিক কাজের প্রতি ঘৃণাবোধ সৃষ্টি, অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে, সত্য ও ন্যায়ের জন্য আপোষহীন লড়াই করবে।
৫। ছাত্র যুব তরুন সমাজের মধ্যে দেশপ্রেম, শ্রমিক—কৃষক—মেহনতি মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও একাত্মতা মনোভাব জাগ্রত করতে সচেষ্ট থাকবে।
৬। ছাত্র—যুব—তরুন সমাজকে দেশ গড়া, মানবাধিকার অর্জন ও রক্ষার কাজে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে সচেতন করা দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে দাড়ানো এবং পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করবে।
৭। যেকোন ধরনের হীনমন্যতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করবে। বিশ্বাসের স্বাধীনতা ও চর্চার সমান সুযোগ সুবিধা সমতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। ধর্মীয় রাষ্ট্র বা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এই মতবেদ নাগরিকদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করে। সমতা পার্টি ধর্মীয় রাষ্ট্র বা ধর্ম নিরপেক্ষ নয়, মানবিক রাষ্ট্রের বিশ্বাসী।
৮। চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার ও বিকাশে সৃজনশীল কর্মকান্ড প্রণয়নে সচেষ্ট থাকবে। দুর্নীতিবাজ অর্থ পাচারকারী ও শোষণের বিরুদ্ধে, বিশ্ব শান্তির স্বপক্ষে বিশ্বের সকল মুক্তিকামী মানুষের সাথে একাত্মতা ও সংহতি জোরদার করতে সচেষ্ট থাকবে।
৯। বিশ্বায়নেরে নামে বাজার দখলের পরিবর্তে সমতাভিত্তিক গণতান্ত্রিক বিশ্বায়ন, বিশ্বব্যাপী শ্রমের অবাধ বিচরণের ব্যবস্থা এবং আন্তঃ এশীয় আঞ্চলিক উন্নয়ন ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সচেষ্ট থাকবে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে বৈরিতা নয়, নিজস্ব সক্রিয়তা সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে সুসম্পর্ক রাখবে। বিশ্বের সকল দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে। বিশ্বের সকল মুক্তিকামী নির্যাতিত নিপীড়িত অধিকার বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াবে।
১০। মানবিক মূল্যবোধ সম্পূর্ণ ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হলে সাংস্কৃতিক বিপ্লব প্রয়োজন, সংস্কৃতি মানুষের মাঝে হীণমন্যতা ভেদাভেদ দূর করে, মানবিক মানুষ হতে সহায়তা করে, সমতা পার্টি সেই সাংস্কৃতিক সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
কর্মসূচি—
সমতা পার্টি দেশবাসীর স্বার্থে নিম্নলিখিত কর্মসূচি ও দাবি উপস্থাপন করছে এবং দৃঢ় অঙ্গীকার করছে যে, নিম্নলিখিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
১। দেশবাসীর আকাঙ্খিত বৈষম্যহীন সমাজ ভোটাধিকার, উদার গণতন্ত্র, আইনের শাসন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকারের সমতা, বিশ্বাসের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্ন বাধাহীন ভাবে ভোট দিতে পারে সে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। দেশব্যাপী সংখ্যানুপাতিক প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সংসদে প্রতিনিধিত্ব ¡(একটি দল সারাদেশে যত % ভোট পাবে তার উপর ভিত্তি করে সংসদে তত % প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে। এই আইন প্রণয়ন করতে হবে। অবিশ্বাস ও প্রতিহিংসার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়. প্রয়োজন চিরস্থায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
২। অর্থনৈতিক মুক্তি লক্ষে প্রত্যেক গ্রামে বহুমুখী গ্রাম সমবায় সমিতি গড়ে তুলতে হবে, ব্যক্তি মালিকানা ও সমবায় মালিকানার মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে প্রত্যেক নাগরিককে আর্থিক ভাবে সাবলম্বী করতে হবে। জমির মালিক নিজে জমি চাষ না করলে সমবায়কে দিতে হবে, সমবায় খরচ দিবে, ভূমিহীন কৃষক সে খরচে জমি চাষ করবে উৎপাদিত ফসল এক ভাগ জমির মালিক এক ভাগ কৃষক এক ভাগ সমবায় পাবে। এতে কোন জমি অনাবাদি থাকবে না কোন কৃষক খরচের অভাবে চাষ ও কর্মবিমুখ হবে না এতে উৎপাদন বাড়বে কৃষক লাভবান হবে, দেশে খাদ্যের যোগান বাড়বে জনগণ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, বেকার মুক্ত হবে।
৩। সকল নাগরিককে নিজ নিজ যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজ দিতে হবে। শ্রম শক্তির অপচয় রোধ এবং কাজের জন্য উপযুক্ত পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিক শোষণ লাগবে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রত্যেক চাকরিতে জব সিকিউরিটি নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
৪। সমবায়ের ভিত্তিতে আত্মকর্মসংস্থানমূলক কাজে উৎসাহ ও উদ্যোগ সৃষ্টির জন্য পুঁজিহীন নাগরিকদের ব্যবসা—বাণিজ্য করার জন্য সহজ শর্তে সহজ কিস্তিতে সল্প সুদে ব্যাংক ঋণ দিতে হবে। কর্মস্থান ব্যাংকে পর্যাপ্ত তহবিল বরাদ্দ দিয়ে দলীয় প্রভাব মুক্ত করে প্রকৃত বেকার যুবকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রাপ্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নাগরিকদের মধ্যে যারা বিদেশে যেতে চায় তাদের সরকারি খরচে বিদেশ পাঠাতে হবে, যাওয়ার পর খরচ কর্তনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বিদেশ থেকে প্রতারিত ও খালি হাতে ফেরত প্রবাসীদের সাবলম্বী করতে সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে।
৫। প্রতিটি নাগরিকের শিক্ষার চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। নিরক্ষরতা দুর করার জন্য বাস্তব ও কার্যকর পরিকল্পনা দিতে হবে। জাতীয় আশা—আকাঙ্খার অনুরূপ একটি বৈজ্ঞানিক ও গণমুখী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে। ছাত্র তরুন যুবকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য মেধা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ও কর্মজীবী যুবকদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে। সরকারি চাকরিজীবীদের মত আধা—সরকারি স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে চাকুরির নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
৬। সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রে ব্যাপক অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। শিল্প—সাহিত্য—সাংস্কৃতির ক্ষেত্রে প্রতিভার সৃজনশীল বিকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের সর্বত্র শরীরচর্চা ও খেলাধুলার সুযোগের সম্প্রসারণ করতে হবে। ছেলে মেয়েদের খেলাধুলার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।আধুনিক তথ্য—প্রযুক্তির বিকাশ এবং অধিক সংখ্যক মানুষকে এর ব্যবহারের আওতায় আনার জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৭। বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মানুষসহ জীববৈচিত্র্য মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে। পরিবেশের মারাত্মক দূষণ রোধকল্পে জরুরি ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ গ্রহন এবং এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে।
৮। কল—কারখানা, অফিস ও সকল কর্মক্ষেত্রে কাজের উপযোগী স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কৃষি ও শিল্পের বিকাশ সাধন করে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে।
৯। ভূমি সংস্কার ও কৃষির আধুনিকীকরণ এবং ভূমিহীন ও গরিব কৃষকদের স্বার্থে কার্যকরি ব্যবস্থা নিতে হবে। খাস জমিন চিহ্নিত করে দখলমুক্ত করে প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে লিজ দিতে হবে ও বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। ন্যায্যমূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করতে হবে। ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
১০। সকল কর্মচারী ও শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন—মজুরি ও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কলকারখানা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনায় শ্রমিক—কর্মচারীদের অংশগ্রহণ সুযোগ দিতে হবে। অবাধ টেড্র ইউনিয়ন করার সুযোগ দিতে হবে।
১১। ধর্মীয় রাষ্ট্র বা ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র এই বির্তক নাগরিকদের মধ্যে বিভেদ ও হিংসার সৃষ্টি করে, এর কোনটাই কাম্য নয়। বাংলাদেশ হবে মানবিক রাষ্ট্র। সব ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চার অবাধ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
১২। স্বাধীনতার মূল্যবোধ সমূহ সংহতকরণ, স্বাধীন সক্রিয় জোট নিরপেক্ষ মাধ্যমে বিশ্বায়ন, বর্ণবাদ ও ধমীয় প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে এবং বিশ্ব শান্তির স্বপক্ষে আন্দোলন ও সংহতি জোরদার করতে হবে।
১৩। স্বাধীন দেশের উপযোগী গণতান্ত্রিক প্রশাসন ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, সিএসও ও এনজিও পুনর্গঠন, আইন বিচার ব্যবস্থার পুনর্গঠন, জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ও চিকিৎসা ব্যবস্থার পুনর্গঠন, ভূমি প্রশাসন ব্যবস্থার পুনর্গঠন, কৃষি ব্যবস্থাপনার সংস্কার, পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি সংস্কার, সমবায় পদ্ধতি ও কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে হবে।
১৪। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। তাদের ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে সমগ্র দেশবাসীর সংগ্রামের একই ধারায় শামিল করার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
১৫। দেশ থেকে ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি প্রভৃতি নির্মূল করতে হবে। সৎ, দক্ষ ও যোগ্যতা সম্পন্ন নাগরিকদের কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ—সুবিধা দিতে হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে সহজ কিস্তিতে ঋণ প্রদান ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করতে হবে। ঋণ খেলাপি ও অসাধূ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৬। জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও জনজীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
১৭। জনগণের মৌলিক অধিকার সমূহ প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষিত করতে হবে। গণতন্ত্র পরিপন্থী নিরাপত্তার নামে কালো আইনসহ সকল প্রকার কালাকানুন বাতিল করতে হবে।
১৮। মেয়েদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, কাজের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি ও জাতীয় সংসদ সংরক্ষিত নারীদের সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নারীরা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত তাদের সংরক্ষিত নয়, নির্বাচিত প্রতিনিধির মর্যাদা দিতে হবে।