জ ই বুলবুল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুব ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো: নাছির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় নবীনগর ভূমি অফিসের সামনে থেকে মাগরিবের নামাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোহাম্মদ শামিম।
গত ৫ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের সংবাদে আন্দোলনকারীদের ভিতরে ঢুকে কতিপয় দুষ্কৃতকারী থানাসহ সরকারি দপ্তরের ভাঙচুর লুটপাট ও পুলিশের উপর আক্রমণ চালায়।এই ঘটনায় গত ১০ অক্টোবর এস আই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে ১৫০০হাজার জনের নামে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে মামলা করে। থানা ভাঙচুর মামলায় মামলায় আওয়ামী লীগের নেতা নাছির উদ্দীনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আরো ৫ নেতাকে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কাইতলা ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতিকে দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান সৈকত আলী, কৃঞ্চনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ মলাই মিয়া,পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম অনিক, জিনদপুর ইউপির সাবেক মেম্বার ২ নং ওয়ার্ড জিনদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন, লাউরফতেহ্পুর ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার, লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি নাছর মিয়া।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, থানা ভাঙচুর ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে ধারণা করা হচ্ছে। অনুসন্ধান চলছে এ সকল ঘটনায় যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে শুধু তাদেরই গ্রেফতার করা হবে। উপরের নির্দেশনা পালন করে যাচ্ছি মাএ।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে জহির উদ্দীন চৌধুরী সাহানকে মোবাইলে কল দিলে তিনি বলেন,” আমি দুই বছর যাবৎ ঢাকায় আমার স্ত্রীকে চিকিৎসা জনিত কারণে ঢাকায় অবস্থান করছি দলের নেতা কর্মীদের বিষয়ে বা দল নিয়ে চিন্তা করার সময় আমার নেই”
এদিকে গ্রেফতার আতংকে নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা কর্মীরা আতংকে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই ছাএ লীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় আরো বিপাকে রয়েছেন।