————
পা
———–
লাল আলতা দিয়ে ঢেকে রাখছো নখ,
স্বপ্নের লালা দিয়ে মুছে দিতে চাইছো
বৈষম্য প্রধান রাতের দেহ,
আর পা দিয়ে এই মরুসমুদ্রে- সরাতে চাইছো
যে হাঙরের মৃতদেহ, তুমি কি জানো
এই হাঙর একদিন গ্রাস করেছিল মনুষ্যের বিবেক।
পা
———–
লাল আলতা দিয়ে ঢেকে রাখছো নখ,
স্বপ্নের লালা দিয়ে মুছে দিতে চাইছো
বৈষম্য প্রধান রাতের দেহ,
আর পা দিয়ে এই মরুসমুদ্রে- সরাতে চাইছো
যে হাঙরের মৃতদেহ, তুমি কি জানো
এই হাঙর একদিন গ্রাস করেছিল মনুষ্যের বিবেক।
এই নগরে বিবেকহারা মানুষের উল্লাস মিছিল দেখে
খসে পড়েছিল অনেকগুলো নক্ষত্র,
খালি পায়ে রাত্রিফেরিতে বেরিয়েছিল যে চাঁদ
কেঁদেছিল সে ও,
এক পা বিহীন একজন মানুষ তার প্রেমিকাকে
জড়িয়ে ধরে বলেছিল,
আমি কোথায় পালাবো, সখি
আমি তো দৌড়ুতে পারি না!
খসে পড়েছিল অনেকগুলো নক্ষত্র,
খালি পায়ে রাত্রিফেরিতে বেরিয়েছিল যে চাঁদ
কেঁদেছিল সে ও,
এক পা বিহীন একজন মানুষ তার প্রেমিকাকে
জড়িয়ে ধরে বলেছিল,
আমি কোথায় পালাবো, সখি
আমি তো দৌড়ুতে পারি না!
——————————-
রেখে যাচ্ছো ধুলোচিহ্ন
——————————-
ধুলোচিহ্ন রেখে যাচ্ছো , যাও
কিছু বৃষ্টি এসে ভেজাবে সকাল
আর সকল গোলাপের উন্মুখ পরান
জানি সবটুকু বিরহ – তা তো তোমারই দান।
আমি যে আকাশ, ভালোবাসি বলে প্রতিক্ষণ
তাকিয়ে থাকি নীল সামন্তের দিকে
জানি, সেখানেই অগ্নিধাতুর খেলায়
মেতে থাকো তুমি, বেদনার মূর্ত প্রতীকে।
তাকিয়ে থাকি নীল সামন্তের দিকে
জানি, সেখানেই অগ্নিধাতুর খেলায়
মেতে থাকো তুমি, বেদনার মূর্ত প্রতীকে।
আমি সেই প্রতীক হয়েই
করে যাই শোধ, বিন্দু বিন্দু ঋণ
আর আমার কবিতার আলোয় আঁকি,গমনদৃশ্য
জীবনের দীর্ঘতম নি:শ্বাসের পর্ব-প্রাচীন….
করে যাই শোধ, বিন্দু বিন্দু ঋণ
আর আমার কবিতার আলোয় আঁকি,গমনদৃশ্য
জীবনের দীর্ঘতম নি:শ্বাসের পর্ব-প্রাচীন….
———————-
বিনয়ের ভিন্নগান
———————-
আমাকে সমুদ্র দাও, আমি দেবো সবুজ আকাশ
আমাকে বিষাদ দাও, আমি দেবো সপ্তম গোধূলি
আর বলি,
যদি কিছুই না দাও
তবে এই সমাধি জুড়ে আরেকবার মৃত্তিকা সাজাও ।
এবং সাজিয়ে রাখো আরেকটি স্মৃতির পানদান
কয়েকটুকরো মিষ্টি সুপোরি,
আর জর্দার ঘ্রাণ…
আমি তো এভাবেই তোমার জন্য
লিখে যেতে চেয়েছি
বিনয়ের সুতোয় লেখা সমুদ্রের ভিন্নগান।
কয়েকটুকরো মিষ্টি সুপোরি,
আর জর্দার ঘ্রাণ…
আমি তো এভাবেই তোমার জন্য
লিখে যেতে চেয়েছি
বিনয়ের সুতোয় লেখা সমুদ্রের ভিন্নগান।
#
