ঘোড়াশালে ২৭ জন পাক-হানাদার খতম

বিডি মেট্রোনিউজ ।। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর নবম মাসে এসে একে একে সাফল্য ধরা দিতে শুরু করে। শত্রুপক্ষ ক্রমেই কাবু হতে থাকে। বীরবিক্রমে মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ্যঅর্জনের মাস হয়ে ওঠে ডিসেম্বর।

২ ডিসেম্বর, বিজয়ের মাসের দ্বিতীয় দিনে মুক্তিযোদ্ধারা বীর বিক্রমে সাফল্যের লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে। এইদিনের বড় অর্জন হচ্ছে  ঘোড়াশালে মুক্তিবাহিনীর সাফল্য। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিবাহিনী ঘোড়াশালে পাকবাহিনীর অবস্থানের ওপর চারদিক থেকে আক্রমণ করে। এতে মুক্তিযোদ্ধারা ২৭ জন পাক-হানাদারকে হত্যা করতে সক্ষম হন। এখান থেকে বেশ কিছু গোলাবারুদও উদ্ধার করে মুক্তিবাহিনী।

আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এ সময় ক্ষিপ্ত পাকবাহিনী তাদের বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠে মুক্তিবাহিনীর ওপর পাল্টা আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনী পুনরায় তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করে তিন দিক থেকে আক্রমণ চালালে পাকবাহিনী আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

এই দিনে চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনীর গেরিলারা উত্তরে ফটিকছড়ি ও রাউজান থানা এবং দক্ষিণে আনোয়ারার অধিকাংশ স্থান তাদের দখলে নিয়ে আসতে সক্ষম হন।

এই দিনে পাক কমান্ডার মোছলেহ উদ্দিন ভালুকা থেকে একদল রাজাকার সঙ্গে নিয়ে কাঁঠালি গ্রামে লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করতে এলে মুক্তিবাহিনীর সেকশন কামান্ডার গিয়াসউদ্দিন এবং ৩ নং সেকশন কমান্ডার আবদুল ওয়াহেদের নেতৃত্বে পরিচালিত অতর্কিত আক্রমণে ৩ জন পাক-হানাদার, ৭ জন রাজাকার নিহত হয় এবং ৭ জন পাকসৈন্য আহত হয়। পরে পাক-হানাদাররা মৃতদেহগুলো নিয়ে পালিয়ে যায়।

সূত্র : ‘ঘোড়াশালে ২৭ পাক-হানাদার হত্যা’ লেখক- শাহ মতিন টিপু , রাইজিংবিডি ডটকম

 

 

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts