বিডি মেট্রোনিউজ ।। পৌর ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ৩৩ দফা কর্মপরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যদিও ওই কর্মপরিকল্পনার অর্ধেকের বেশি কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছে করেছে ইসি। সম্প্রতি ২৩৪ জন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এই কর্মপরিকল্পনা পাঠানো হয়। তবে কর্মপরিকল্পনার মধ্যে এখনো ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকার গেজেট প্রকাশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনসহ ডজনেরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকি আছে। প্রথমবারের মতো মেয়র পদে ল’ভিত্তিক স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের জন্য কর্মপরিকল্পনা ধরেই কাজ এগোচ্ছে কমিশন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সচিবালয়ের উপ-সচিব সামসুল আলম বলেন, কর্মপরিকল্পনা অনুমোদনের পর অগ্রাধিকারভিত্তিতে সব কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সুচারুভাবে শেষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। সামনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা শেষ করে ভোটের ব্যবস্থা হবে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, কর্মপরিকল্পনার মধ্যে ভোটার তালিকা ছাপানো, রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, নিবন্ধিত দলকে চিঠি, ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির তালিকা সংগ্রহ, নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহ, নির্বাচনী বরাদ্দ প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় সামগ্রী মুদ্রণ, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রস্তুত, নতুন নির্বাচনী ম্যানুয়াল মুদ্রণ, মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সংক্রান্ত পরিপত্র জারি, সম্ভাব্য ভোকেন্দ্রের তালিকা সংগ্রহ, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করে এনেছে কমিশন।
ভোটকেন্দ্রের তালিকার গেজেট প্রকাশ, নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম নিয়োগ, প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য প্রচার, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত ও তাদের প্রশিক্ষণ, সাংবাদিক-পর্যবেক্ষকের অনুমতি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠক, ট্রাইব্যুনাল নিয়োগ, ভোটের দিন ছুটি ঘোষণার ব্যবস্থা করা, মন্ত্রণালয় ও বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ চিঠি পাঠানো, আচরণবিধি প্রতিপালন ও অভিযোগ নিষ্পত্তি, ব্যালট পেপার মুদ্রণ ও নির্বাচনী এলাকায় পাঠানো, ভোটগ্রহণ, নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর কাজ বাকি রয়েছে। ভোটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়-আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক আগামী ১৯ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, এপিবিএন, কোস্টগার্ডের শীর্ষ ব্যক্তি, সশস্ত্রবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পুলিশের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চারজন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের সচিব ভোট নিয়ে সার্বিক নির্দেশনা দেবেন বৈঠকে।