আবু তাহের, চট্টগ্রাম ।। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’র কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন মেডিকেল স্টাফ কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ (মেডিকপস) নির্বাচন ৯ ডিসেম্বর বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। সঙ্গতকারণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখন উৎসবমুখর।
১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনের বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ১২০০জন। চট্টগ্রাম সমবায় অধিদপ্তরের ২৬২০ রেজিস্টেশন নম্বরে তালিকাভুক্ত এ সংগঠনের এবারের নির্বাচনে ৩৮জন প্রার্থী বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
শাহ আলম-সুমন-নাছির, নিপেন্দ্র-সন্তোষ-বাহার, বশর-শামসু-রতন এই ৩প্যানেলে মুল প্রতিদ্বন্ধিতা হলেও অনেকে আবার স্বতন্ত্রভাবেও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ১২ পদের বিপরীতে ৩৮জনের প্রতিদ্বন্ধিতায় জমজমাট লড়াই হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
চট্টগ্রাম সমবায় অধিদপ্তরের ৩কর্মকর্তা ও বর্তমান কমিটির সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে। বর্তমান কমিটির সদস্য নুর মোহাম্মদ বলেন, বিগত দিনে বেশ কয়েকবার দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পেয়েছি। তাই এবার প্রতিদ্বন্ধিতা করছিনা। নতুনদের জন্য জায়গা ছেড়ে দিয়েছি। প্রতিদ্বন্ধিতা কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের এখানে কোন রাজনৈতিক দলাদলি কিংবা রেষারেষি নেই। সবাই একসাথে মজা করার জন্যই মুলত এ নির্বাচন।
উল্লেখ্য সমবায় অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন এ সংগঠনের সদস্যদের কোন শ্রেণী বিন্যাস নেই। মেডিকেল এ কর্মরত ১ম থেকে চতুর্থ শ্রেনীর সকলেই এ সংগঠনে সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মিলিত এ ধরনের সংগঠন তেমন একটা গড়ে ওঠেনি সরকারী অন্যান্য সেক্টরে। সেদিক থেকে এ সংগঠনের নেতারা তাদের সংগঠনকে ব্যতিক্রম বলেই দাবী করেন।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, প্রার্থীরা প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন আজকের নির্বাচনের জন্য। ভোটারদের মন জয় করার জন্য বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। কেউবা একা একা কেউবা দলবেধে প্রচারণা চালিয়েছেন। নিজেদের প্যানেল’র বাইরে ব্যক্তিগত ইমেজকে কাজে লাগিয়ে নিজের বিজয় সুনিশ্চিত করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে গেছেন প্রার্থীরা।
ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা ভোট দিবেন ভেবে চিন্তে। এতদিন প্রার্থীদের কথা শুনেছেন। আজ ভোট কক্ষে গিয়ে চুড়ান্ত রায় দিবেন। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন চলবে। গননা শেষে রাতেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এদিকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন নির্বাচনের স্বার্থে সকলেই নিজের দলীয় পরিচয়কে ভুলে গিয়ে একসাথে কাজ করছেন। অনেক প্রার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে রাজনীতি ঢুকে গেলে কোন সংগঠনই আর শান্তিপূর্ণ থাকেনা। তাই নিজেদের বৃহত্তর স্বার্থে রাজনৈতি ভেদাভেদ ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করছেন সকলেই।
তিন প্যানেলরই সিনিয়র নেতৃবৃন্দ নিজেদের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ প্রকাশ করেছেন। শান্তিপূর্ন পরিবেশ বজায় রাখতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন ভোট কেন্দ্রে। ভোটের কারণে রোগীদের কিছুটা অসুবিধা হলেও শান্তিপূর্ন নির্বাচনের স্বার্থে তারাও সেটা মেনে নিয়েছেন।