বিডি মেট্রোনিউজ ।। সত্যিই বাস্তব রূপ নিচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। আগামীকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়াপ্রান্তে সেতুর সার্ভিস পাইলিং এবং জাজিরাপ্রান্তে নদীশাসনের কাজ উদ্বোধন করবেন। পরিকল্পনামাফিক সবকিছু চললে, তিন বছর পর পদ্মা সেতুতে চলবে গাড়ি ও ট্রেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত শনিবার বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রায় ২৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। একই তথ্য দিলেন সেতু-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, পুরো প্রকল্প হিসেবে এক-চতুর্থাংশ কাজ শেষ। ভূমি অধিগ্রহণ এবং পুনর্বাসনের মতো জটিল কাজও শেষ হয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, দেশের দীর্ঘতম এ সেতু নির্মাণ উন্মুক্ত হলে, মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বাড়বে এক দশমিক দুই শতাংশ। তবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যে স্বপ্নপূরণ হচ্ছে, তার মূল্য অর্থনৈতিক হিসাবের চেয়ে ঢের বেশি।
২০০১ সালের ৪ জুলাই এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন শেখ হাসিনা। এরপর পদ্মায় অনেক পানি গড়িয়েছে। কিন্তু সেতু হয়নি। সাড়ে ১৪ বছরের মুখে নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তব রূপ পেতে চলেছে স্বপ্নের সেতু।
আয়তন ও নির্মাণব্যয়ের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুটি বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু। সর্বশেষ সংশোধনীর পর এর ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।