বিডিমেট্রোনিউজ, সুনামগঞ্জ ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত কয়েকটি হাওড় এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি হাওড় এলাকার বন্যাদুর্গত জনগণের প্রতি তাঁর গভীর মমত্ববোধ ও সমবেদনা জানান।
আজ সকালে বন্যাকবলিত শাল্লা উপজেলা সদরের শহিদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে জনগণের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শেষে প্রধানমন্ত্রী স্পিডবোটে করে কয়েকটি প্রত্যন্ত হাওড় ও সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। ওই এলাকাসমূহ পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১শ’টি বন্যাদুর্গত পরিবারের মধ্যে তার নিজস্ব তহবিল থেকে নগদ অর্থ ও চাল বিতরণ করেন।
পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী জনগণের সাথে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন। শেখ হাসিনা হাওড় এলাকার শিশুদের কাছে জানতে চান তারা বছরের প্রথমদিন পাঠ্যবই পেয়েছে কিনা, শিশুরা ইতিবাচক জবাব দিয়ে সমস্বরে এক সাথে বলে ‘আমরা বছরের প্রথমদিন পাঠ্যবই পেয়েছি।’ বর্ষাকালে স্কুলগামী শিশুদের চলাচলের সমস্যা অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওড় এলাকা এবং পার্বত্যাঞ্চলে আবাসিক বিদ্যালয় নির্মাণের লক্ষ্যে সরকার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
হাওড় এলাকার বন্যাদুর্গত জনগণের দুর্দশা স্বচক্ষে দেখার জন্য শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে এখানে আসেন। শাল্লা উপজেলার শহিদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে অবতরণ করার আগে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টার থেকে বন্যা উপদ্রুত এলাকার পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শহিদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে এক জনসমাবেশে ভাষণ দেন। ভাষণ শেষে তিনি ১ হাজার মানুষের মধ্য থেকে নির্বাচিত ২০ জনের মাঝে প্রত্যেককে ৩৮ কেজি চাল এবং ১ হাজার টাকা করে বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যাকবলিত হাওড় অঞ্চল পরিদর্শনকালে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্ত প্রমুখ তার সাথে ছিলেন।