সেনানিবাস আইন ২০১৭-র খসড়া অনুমোদন

খোলা অবস্থায় মাংস বহন এবং অনবৃত করে বিকলাঙ্গতা ও ব্যাধি প্রদর্শনের মত ঘটনাতেও একই শাস্তির বিধান থাকছে প্রস্তাবিত এই আইনে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভায় বৈঠকে ‘সেনানিবাস আইন- ২০১৭’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, ১৯২৪ সালের ‘ক্যান্টনমেন্টস অ্যাক্টকে’ পুনর্বিন্যস্ত করে নতুন এই আইন করা হচ্ছে।

আগের আইনের ২৯২টি ধারা থেকে কিছু বাদ দিয়ে এবং নতুন কিছু সংযোজন করে মোট ২১৮টি ধারা রাখা হয়েছে এই খসড়ায়। বিভিন্ন অপরাধের জন্য জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ২০ হাজার ‍গুণ পর্যন্ত।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকা এক ধরনের পৌর ব্যবস্থাপনার মত। অর্থাৎ পৌরসভা যেভাবে তাদের এলাকা ম্যানেজ করে, এটাও সেভাবে ম্যানেজ করবে। বোর্ডের কার্যক্রম কেমন হবে তা এই আইনে বলা আছে।

“৯০ বছর আগে যেসব জরিমানা নির্ধারণ করা ছিল সেগুলোর পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। ৪৩টি বিষয়ে আর্থিক জরিমানার বিধান বাড়ানো হয়েছে।”

শফিউল বলেন, কোনো অপরাধ কোনো নির্দিষ্ট ধারায় না এলে আগের আইনে ২০০ টাকা জরিমানা করার সুযোগ ছিল। প্রস্তাবিত আইনে ওই বিধান বাদ দিয়ে বিভিন্ন অপরাধের জন্য জরিমানার পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts