বিডিমেট্রোনিউজ ॥ স্বর্ণ এবং ডায়মন্ড আটকের ঘটনায় বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। একই সাথে অবৈধ মদ রাখার দায়ে ঢাকার বনানীতে অবস্থিত হোটেল রেইনট্রির মালিককেও তলব করা হয়েছে।
আগামী ১৭ মে বেলা ১১টায় তাদের কাগজপত্রসহ শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে। আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিকের ছেলে সম্প্রতি বহুল আলোচিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী এবং জুয়েলার্সটি বর্জনের জন্য গত বেশ কিছুদিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চলছে।
সে প্রেক্ষাপটে শুল্ক গোয়েন্দারা আপন জুয়েলার্সের শোরুমে অভিযান চালায়। দীর্ঘদিন যাবত কোন স্বর্ণ আমদানি না করেও কীভাবে তারা এই ব্যবসা চালাচ্ছে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে শুল্ক গোয়েন্দারা। অন্যদিকে বনানীর হোটেল ‘দ্য রেইন ট্রি’ তে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠে। সে হোটেলটিতেও অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দারা।
সেখান থেকে ১০ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তর বলছে অবৈধভাবে বিদেশি মদ রাখার দায়ে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
‘ডার্টি মানি’র অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত রবিবার শুল্ক গোয়েন্দারা আপন জুয়েলার্স এর গুলশান, উত্তরা, মৌচাক ও সীমান্ত স্কোয়ার মার্কেটে ৫ টি স্বর্ণের দোকানে অভিযান পরিচালনা করছে। সেসব অভিযানে ২৮৬ কেজি স্বর্ণ ও ৬১ গ্রাম ডায়মন্ড জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দারা। এর পর সোমবার শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর থেকে আপন জুয়েলার্সকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে বলা হয়েছে।
আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদের গত রবিবার বিবিসি বাংলার কাছে দাবী করেন, চোরাচালানের সাথে তাদের এই পারিবারিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত নয়।
দিলদার আহমেদ বলেন, “আমাদের ৪০ বছরের ব্যবসা। চোরাচালানের সাথে আমরা যুক্ত থাকবো কেন?” কিন্তু আমদানী না করে এত বড় ব্যবসা কীভাবে চলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুরনো স্বর্ণ রিফাইন (পুন:ব্যবহার) করে এবং বিদেশ থেকে ১০০ গ্রাম করে যে স্বর্ণ আনে, সেটা তাদের কাছে অনেকে বিক্রি করেন। তবে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ বলেন তদন্তে তিনি সহযোগিতা করবেন।
আপন জুয়েলার্স বর্জনের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে প্রচারণা চলছে তাতে তাদের ক্রেতা কমেনি বলেও দাবী করেন দিলদার আহমেদ।