বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে দেড় ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে কিছু পায়নি পুলিশ। শনিবার সকালে এই অভিযান চালানোর সময় পুলিশ বলেছিল, আদালতের পরোয়ানা নিয়েই তারা অভিযান চালাচ্ছেন
বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে ঠিক কি কারণে এই তল্লাশি জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান বিবিসিকে বলেন, “একটি সার্চ ওয়ারেন্ট (তল্লাশি পরোয়ানা) ছিল। তার ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ”।
তবে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ ছিল কি-না বা ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে কিছু পাওয়া গেছে কি-না জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এখনই বিস্তারিত কিছু জানাতে পারছেন না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির একটি দল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তল্লাশি শুরু করে। এরপর প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয়।
বিএনপির পক্ষ থেকে এ তল্লাশিকে বলা হচ্ছে “সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ”। বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে দমন করতে না পেরেই এমন কর্মকান্ড চালাচ্ছে পুলিশ, বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ।
সম্প্রতি ওই কার্যালয়ে ট্রাকে করে বহুসংখ্যক বই-পত্র ঢুকেছে এমন খবর এই তল্লাশির পেছনে কোনও কারণ হিসেবে রয়েছে- কিছু সংবাদ মাধ্যমে এমন খবর এসেছে।
এ প্রসঙ্গে রিজভী আহমেদ বলেন, “এটা একটা রাজনৈতিক দলের কার্যালয়। এখানে পেপার-কাটিং থাকবে, নানারকম কাজ হচ্ছে। এখানে বই বা কাগজ-পত্র আসবে না? তাই বলে এভাবে সন্দেহ হলেই আপনার বাড়িতে ঢুকে পড়বো?”
রিজভী বলেন, পুলিশ লিখিত দিয়ে গেছে “প্রাপ্তি শূন্য” তাহলে কেন এই তল্লাশি? তার মতে “এভাবে তল্লাশি চালিয়ে, বৃহত্তর চক্রাান্তের অংশ হিসেবে সরকার এটা করেছে। এর মধ্য দিয়ে একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মানিত করা হয়েছে”।
তিনি বলেন, জিডি কে করেছে পুলিশ সেটিও বলছে না।