নরসিংদীর অভিযানে অঘটন নেই

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক নরসিংদী সদরে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িতে অবস্থানরত পাঁচ তরুণের আত্মসমর্পণের পর সেখানে কোনো অস্ত্র বা বিস্ফোরক পায়নি র‌্যাব। তাদের মধ্যে সিলেটের আতিয়া মহল থেকে পালিয়ে আসা কয়েকজন ‘জঙ্গি’ রয়েছে বলে র‌্যাব দাবি করলেও স্বজনরা বলছেন, জঙ্গিবাদের সঙ্গে তারা জড়িত নয়।

নরসিংদীর গাবতলীর চিনিসপুর ইউনিয়নের উত্তর গাবতলী গোরস্থানের উত্তর পাশে এক প্রবাসীর মালিকানাধীন ওই একতলা ওই বাড়ি শনিবার সন্ধ্যা থেকে ঘেরাও করে রাখার পর রোববার সকালে আত্মসমর্পণের আলোচনার জন্য স্বজনদের নিয়ে ভেতরে যায় র‌্যাব।

এরপর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে পৌনে ১১টার মধ্যে একে একে পাঁচজনকে ওই বাড়ি থেকে বের করে আনতে দেখা যায় র‌্যাব সদস্যদের। পরে তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে।

এই পাঁচ তরুণ হলেন- নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার আগুয়ানদী গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে আবু জাফর, নরসিংদী সদর উপজেলার চরদিঘলদী গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে সালাহউদ্দিন, নরসিংদী সদরের চরভাসানিয়া পাঁচ আনি পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে বাসিকুল ইসলাম, গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে মাসুদুর রহমান ও ভৈরব এলাকার মশিউর।

অভিযান শেষে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “আতিয়া মহলে যে জঙ্গিরা ছিল তাদের সঙ্গে এখানে যারা ছিল তাদের কিছু সম্পৃক্ততার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। আমরা মোটামুটি নিশ্চিত এই পাঁচ জনের মধ্যে কয়েকজন সেই জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাকিটা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বলা সম্ভব হবে।”

ওই বাড়ি তল্লাশি শেষে বেলা ১টার পর র‌্যাব সদস্যদের তালা দিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুফতি মাহমুদ খান বলেন, “ওই বাড়ির তিনটি কক্ষ তল্লাশি করে বাহ্যিকভাবে কোনো অস্ত্র বা বিস্ফোরক পায়নি আমাদের বোমা নিষ্ক্রিয়করী দল। আমরা আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করব।”

ওরা ‘জঙ্গি নয়’

নরসিংদী শহর থেকে কিছু দূরে জামেয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসার কাছে ওই বাড়ির মালিক মাইনুদ্দিন কুয়েতে থাকেন। বাসাটি দেখাশোনা করেন জাকারিয়া নামে তার এক প্রতিবেশী। জাকারিয়া জানান, গত ৩ মে তিন অবিবাহিত পুরুষ ওই বাসা ভাড়া নেন। আর স্থানীয় কয়েকজন বলেছেন, ওই বাসার তরুণ বাসিন্দারা মূলত টিউশনি করতেন। তাদের আচরণে সন্দেহজনক কিছু আছে বলে তদের মনে হয়নি।

শনিবার সন্ধ্যায় র‌্যাব ওই বাড়ি ঘেরাও করার পর খবর পেয়ে রাতেই স্বজনরা সেখানে উপস্থিত হতে শুরু করেন। নরসিংদীর গাবতলী জমিয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র মাসুদুর রহমানের বাবা আব্দুল মজিদ ও বড় ভাই ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রহমান মাসুম ঘটনাস্থলে পৌঁছান রাত ১১টার দিকে। মজিদ বলেন, মাসুদ আগে গাজীপুরের পোড়াবাড়ির একটি মাদ্রাসায় পড়ত। বছর দুই আগে সে গাবতলীর এই মাদ্রাসায় আসে।

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts