বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ‘ঘূর্ণিঝড় মোরা’ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী তিন-চার ঘণ্টায় ‘ঘূর্ণিঝড় মোরা’র গতিবেগ আরও বাড়বে। মঙ্গলবার সকাল নাগাদ ‘মোরা’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করবে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে সাত নম্বর এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে পাঁচ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
রোববার সকালে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। দুপুরে তা নিম্নচাপে এবং মধ্যরাতে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। এর নামকরণ করা হয়েছে মোরা। থাইল্যান্ডের দেয়া নাম মোরা’র অর্থ ‘সমুদ্রের তারা’।
ঘূর্ণিঝড় মোরা সকাল নয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা থেকে ৫৮০ কিলোমিটার এবং পায়রা বন্দর থেকে ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছিলো।
আবহাওয়া অফিস বলছে আগামী ৩-৪ ঘণ্টায় মোরা’র গতিবেগ বাড়বে। এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম,নোয়াখালি, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালি, বরিশাল, পিরোজপুর, খুলনা সাতক্ষীরা, এবং অদুরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতায় জ্বলোচ্ছাসে প্লবিত হবে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আপাতত মনে হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোরা মাঝারি মানের ঘূর্ণিঝড় তবে উপকূল অতিক্রমকালে সমুদ্রে এর গতি কমলে উপকূল অতিক্রমের সময় ক্ষয়ক্ষতি কম হবে। আর যদি তা না হয় তাহলে উপকূল অতিক্রমকালে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আর উপকূল অতিক্রম করতে সময় লাগবে ৫-৬ ঘণ্টা।
আবহাওয়াবিদদের বিশ্লেষণ বলছে, মাঝারি মানের গতিবেগ থাকলে ঘূর্ণিঝড় মোরার কেন্দ্রে ঘণ্টায় বাতাসের গতি থাকবে ৬১ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম কক্সবাজার উপকূল হয়ে মেঘনা-মোহনা হয়ে হাতিয়া-সদ্বীপ-কুতবদিয়া অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টি ঝড়ো বৃষ্টি হবে।